This Article is From Mar 05, 2020

দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ৭ জন কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড

সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন গৌরব গগৈ, টিএন প্রথাপন, ডিয়েন কুরিয়াকোলে, বেন্নি বেহান্নাম, মানিকাম ঠাকুর, রাজমোহন উন্নিনাথন এবং গুরজিৎ সিং আহুজা

কিছু নিয়ম কানুন জারি রাখতে সর্বদলীয় বৈঠক করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা

নয়াদিল্লি:

দিল্লি সংঘর্ষ (Delhi Violence) নিয়ে আলোচনায় সংসদে ব্যাপক হট্টোগোলের কারণে, বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) বাকি সমস্ত দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেসের সাতজন সাংসদকে (Congress MPs) । ৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। সদস্যদের মধ্যে রয়ছেন গৌরব গগৈ, টিএন প্রথাপন, ডিয়েন কুরিয়াকোলে, বেন্নি বেহান্নাম, মানিকাম ঠাকুর, রাজমোহন উন্নিনাথন এবং গুরজিৎ সিং আহুজা। বিষয়টিকে “বদলার রাজনীতি” বলে মন্তব্য করে, দলের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, দল “থেমে থাকবে না”।   তিনি বলেন, “এটা সরকারের সিদ্ধান্ত, অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত নয়। এটা কী ধরণের একনায়কতন্ত্র”? “আমাদের দুর্বল” করতেই এই সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, “সংসদে দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনায় ভয় পায় সরকার”

কংগ্রেস সাংসদদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিজেপি।

সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, “অধ্যক্ষের টেবিল থেকে নথি ছিনিয়ে নেওয়া, পদের প্রতি সবচেয়ে বড় অসম্মান”, পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস সাংসদদের লাগাতার “বিশৃঙ্খলা”র জন্য লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে একটি প্যানেল তৈরি করতে বলেছে তাঁর দল।

হিংসা নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানায় বিরোধীরা, হোলির আগে যে কোনও সময়ে তা নিয়ে আলোচনায় রাজি হননি লোকসভার অধ্যক্ষ, তিনি জানিয়ে দেন, আলোচনার জন্য সময়টি উপযুক্ত নয়।

হোলির পরদিন, ১১ মার্চ আলোচনার দিন ধার্য করা হয়েছে।

আলোচনার দাবি নিয়ে দড়িটানাটানিতে একাধিকবার মুলতুবি হয়ে যায় সভার কাজ, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শুরুর থেকেই খুব কম সময়ই কাজ হয়েছে।

সোমবার ও মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি হট্টগোল হয়, সেদিন সরকার ও বিরোধীপক্ষের সাংসদরা একে অপরের দিকে কাগজ ছুড়তে থাকে।

সোমবারের হট্টগোলের পর, নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন জারি রাখতে এবং সংসদে যাতে ঠিকঠাকভাবে কাজ হয়, তারজন্য একটি সর্বদলীয় বৈঠক করেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা, সরকার ও বিরোধী পক্ষের সাংসদদের একে অপরের দিকে আক্রমণ করার পরেই সতর্ক করে দেন লোকসভার অধ্যক্ষ, এমনকী, সাসপেন্ড করারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

.