ব্রিগেডের মাঠে উপস্থিত হয়েছেন মমতা ব্যানার্জি, ২০ বিজেপি বিরোধী দলের সমাবেশ ঘটতে চলেছে। সাত মাস ধরে এই সমাবেশের প্রস্তুতি সেরেছে তৃণমূল। আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন গত চার দশকে এতবড় সভা পূর্ব ভারতের কোথাও হয়নি। আর সেই মতো প্রায় গোটা দেশ থেকেই এসেছেন বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা। সভায় থাকছেন এইচ ডি দেবেগৌড়া, অখিলেশ যাদব, শরদ পাওয়ার, এম কে স্ট্যালিন থেকে শুরু করে আরও অনেকে। প্রফুল্ল প্যাটেল, হার্দিক প্যাটেল, জিগনেশ মেভানিও থাকছেন। এছাড়া বিরোধী জোট গঠনে সক্রিয় চন্দ্রবাবু নায়ডু থেকে শুরু করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালরাও মঞ্চে থাকবেন। খাতায় কলমে এখনও পদ্ম শিবিরে থাকা শত্রুঘ্ন সিনহা থেকে শুরু করে একদা বিজেপির বড় নেতা যশবন্ত সিনহারাও থাকছেন মঞ্চে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান ৪টি বিরোধী দলের নেতাকে একত্রিত হয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে বলা হয়েছে। বিরোধীরা চান ইভিএম মেশিনে সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হোক
সাংবাদিকদের কংগ্রেসে র আইনজীবী নেতা অভিষেক মনু সিঙভি বলেন এমন একটা সভা আয়োজনের জন্য মুখ্যম্নত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।
সভার পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিরোধী দলের নেতারা
কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবালের সাথে আলোচনা করলেন চন্দ্রবাবু নায়ডু
আজ থেকে বিজেপির শেষের শুরু হল দাবি মমতার
প্রবীণদের বিজেপিতে সম্মান নেইঃ মমতা
বিজেপিতে প্রবীণ নেতাদের সম্মান নেই বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতদিন রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজ, নীতীন গড়করিরা বিজেপিতে সম্মান পেতেন না। এখন ভোট এসেছে বলে যৌথ নেতৃত্বের কথা বলা হচ্ছে।
বিজেপি বাংলায় শূন্য হবেঃ মমতা
ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রথযাত্রা করে বাংলায় অশান্তি ছড়াতে দেব না। আমি যেখানে সভা করি তার পর দিন সেখানে গিয়ে সভা করে। আমি বলেছি রোজ মিটিং করো। কিছুই হবে না। বাংলায় বিজেপির দুটো আসন ছিল সেটাও আর থাকবে না।
সেনাকে দিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নিয়ে ভাবার দরকার নেইঃ মমতা
প্রধানমন্ত্রী নিয়ে ভাবার দরকার নেই। ব্রিগেডের সভায় আরও একবার এ কথা বলেন মমতা। একই সঙ্গে দেশের একাধিক জায়গায় এরকম বৈঠক করার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
নিজের ভাষণের শুরুতেই মমতা বলেন,সরকারের আয়ু শেষ হয়ে এসেছে ।
সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে তেজস্বী বলেন, মোদী একটির সঙ্গে দশটি মিথ্যা কথা বিনামূল্যে দেন।
তেজস্বী বলেন দেশ বিভাজিত হয়েছে। আরএসএস বিজেপিকে দেশকে ভাগ করার কাজ করছে। আর আমাদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
তেজস্বী যাদব বলেন, ইডি এবং সিবিআইকে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। চৌকিদার যেভাবেই কাজ করুন না কেন জানবেন দেশের জনতা পুলিশ। ভুল করলে শাস্তি দেবে।
পাটনা সাহিবের সাংসদ বলেন, আমাদের একটা লক্ষ্য আছে, আর সেটা হল পরিবর্তন।
বিজেপির বিদ্রোহী নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন এত ভাল সভা আমি কখনও দেখিনি। অনেকে বলছে এবার দল থেকে আমাকে দল থেকে বহিস্কার করে দেওয়া হবে। তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই। কারণ আমি আগের দেশের তারপর কোনও দলের। এছাড়া জিএসটি থেকে রাফাল প্রসঙ্গে সুর চড়ান। তিনি বলেন, দেশের মানুষকে তথ্য না দিলে তারা চৌকিদারকে চোর বলবেই।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াতেই বিভিন্ন দল একজোট হয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'আমি টাকার লুঠ বন্ধ করেছি বলে কিছু লোকের রাগ হয়েছে। আর তাই তাঁরা জোট করছেন।'
বর্তমানকে আক্রমণ করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া। তিনি বলেন ২৮২ টি আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসে। কিন্তু দেশ না গড়ে দেশ ভাঙার কাজ করেছে। যারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করেন তাঁদের এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত।
সভায় উপস্থিত হয়ে সোনিয়া গান্ধির পাঠানো বার্তা পাঠ করেন কংগ্রেসের লোকসভার দল নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। সোনিয়া লিখেছেন গণতন্ত্রের উপর মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি।
খাড়গে বলেন আমরা এক হয়ে না লড়লে দেশ বাঁচবে না, সংবিধান বাঁচবে না। ওদের কাজ ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করা। রাফাল দুর্নীতিতে অনীল আম্বানীকে তিরিশ হাজার কোটি টাকার মুনাফা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এনসিপি নেতা শরদ কুমার বলেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে বিজেপির মধ্যেই লড়াই আছে।
কলকাতায় এসে পৌঁছলেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। নিজেই টুইট করে সে কথা জানালেন তিনি
জনসভা থেকে মোদী - অমিত শাহদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে কেজরিওয়াল বলেন, গত ৭০ বছর ধরে ভারতকে ভাগ করার চেষ্টা করেছ পাকিস্তান। বার বার চেষ্টা করলেও তারা পারেননি। কিন্তু মোদী - অমিত শাহ ৫ বছরে সেটাই করে দেখিয়েছেন।
এই সভায় উপস্থিত হয়ে চন্দ্রবাবু নায়ডু বলেন অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতীতেও এ ধরনের সভা করতে চান। একই ইচ্ছা প্রকাশ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাজ করেন না, নিজের প্রচার করতেই ব্যস্ত থাকেন: চন্দ্রবাবু নায়ডু
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ২০১৯ সালে মোদী-শাহ ক্ষমতায় এলে দেশ থাকবে না । আর এবার ক্ষমতা দখল করতে পারলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে বিজেপি।
কেজরিওয়াল বলেন, প্রকৃত দেশ প্রেমিকদের দায়িত্ব অন্য সবকিছু ভুলে মোদী- শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
বিজেপি বিরোধী সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে তীব্র আক্রামণ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কৃষকদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে মোদী- শাহরা দায়িত্ব নেন না। বীমা কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে দেন। আর সেই কোম্পানির মালিকরা মোদীর বন্ধু। তাই কৃষকদের স্বার্থে এঁদের পরাস্ত করতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন আরেকবার এই জুটি ক্ষমতায় এলে দেশের ক্ষতি হয়ে যাবে।
নতুন প্রধানমন্ত্রী দেখলে দেশের আনন্দ হবে, বললেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন এখন দেশের ভাবনা চিন্তার উপর নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আজ আওয়াজ তুলেছে বাংলা কাল সেটা গোটা ভারত বলবে। এক সময় অনেকের মনে হয়েছিল সপা এবং বসপার জোট হবে না কিন্তু হয়েছে। এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে। নতুন বছরে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি সেভাবেই নতুন প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচিত করতে হবে।
ব্রিগেড মহাসমাবেশের বিশেষ বিশেষ কিছু চিত্র:
ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন বলেন এক জোট হয়ে লড়লে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত। ক্ষমতায় আসার আগে শুধুই প্রতিশ্রুতি দিতেন এখন আর সেটা বলেন না। কেন্দ্রীয় সরকার নরেন্দ্র মোদী প্রাইভেট লিমিটেডে পরিণত হয়েছে। এই সরকার বড়লোকদের সরকার। দেশ ছাড়ার আগে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেন বিজয়া মালিয়া।
সভা থেকে বাঙালিদের কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলেন ফারুক আব্দুল্লা। পাশাপাশি তিনি জানান বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা পরে ঠিক হবে।
কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরের অবস্থা বিজেপির সময় খারাপ হয়েছে। কাশ্মীরের প্রত্যেকটা মানুষ ভারতীয়দের সঙ্গে থাকতে চায়। দেশের মানুষের মধ্যে ভালাবাসা এবং প্রেমের ভাবনা বজায় রাখতে হবে।
ইভিএমকে চোর মেশিন বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে ইভিএমের বাতিল করার দাবি জানানো উচিত।
জেডিইউর প্রাক্তন নেতা বলেন বিজেপি সমস্ত সাংবিধানিক সংস্থাকে অকেজো করে দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতাও বিপদের মধ্যে আছে। সবাইকে একসঙ্গে এসে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।
নতুন ভারত তৈরি করবো এবং বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করব। মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে এ কথাই বলেন কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা থা বাংলা থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন কাশ্মীরে বিশ্বের সবচেয়ে অনৈতিক জোট করেছে বিজেপি আর ওরা আমাদের জোট নিয়ে শিক্ষা দেয়!
বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী অরুণ শৌরি বলেন এই সরকারের চলে যাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানেন তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। তাই যে কোনও ভাবে ক্ষমতায় থেকে যেতে চাইছেন। অর্জুনের মতো লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে। বিজেপিকে সরাতে হলে ত্যাগের ভাবনা নিয়ে এগোতে হবে। মোদী- শাহকে মানুষ বিশ্বাস করেন না। আর এখন আপনাদের মানুষকে বিশ্বাস করাতে হবে যে আপনারা ঐক্যবদ্ধ আছেন। দেশের অন্য অংশেও সভা করতে হবে। দেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন বাংলার বাঘিনী।
বিজেপির প্রাক্তন নেতা যশবন্ত সিনহা বলেন আমি জানি বিজেপি বলবে আমরা সবাই একজনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একজোট হয়েছি। সেটা ঠিক নয়, আমরা ভাবনার বদল আনতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। দেশে গণতন্ত্র বিপদের মধ্যে আছে। এই প্রথম কোনও সরকার পরিসংখ্যানকে বিকৃত করার কাজ করে। সরকারের বিরোধিতা করলেই দেশ বিরোধী বলে অভিহিত করা হয়। আমাকে দেশ বিরোধী বলে হয়েছে। আমার নিজের জীবনে আর কিছু চাই না কিন্তু এই সরকারকে হারতে হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে একজনকেই প্রার্থী করতে হবে তাহলে বিজেপি শেষ হবে। এই মঞ্চে আমরা যেমন একসঙ্গে লড়েছি তেমনি নির্বাচনে লড়তে হবে। বিজেপি বিকাশ করতে গিয়ে জনতার ক্ষতি করেছে।
জয়ন্ত সিনহা বলেন আচ্ছে দিন আনতে হলে মোদীকে দেশ থেকে হঠাতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি বলেন আপনি কত কষ্ট করে ক্ষমতায় এসেছেন। ক্ষমতায় এসে আপনি কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মিজোরামের বিরোধী দলনেতা লালডোমা বলেন নতুন নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের পক্ষে দেশে থাকা কঠিন হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি রাজ্যকে বদলে দিতে পারেন তাহলে দেশকেও বদলে দিতে পারবেন।
দীর্ঘ দিন অরুণাচল প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী থাকা গেগং আপাং সম্প্রতি বিজেপিকে ত্যাগ করেছেন। সভা মঞ্চ থেকে বলেন, আমার কণ্ঠ উত্তরপূর্ব ভারতের কণ্ঠ। আমার ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধি থেকে শুরু করে অটল বিহারী বাজপেয়ীদের দেখেছি। কিন্ত গত চার বছর ধরে দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন। শাসকের হাতে সিবিআই অকেজো হয়ে পড়েছে।
দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির দাপট বেড়েছে। একে পরাস্ত করতেই হবে বলে মত হেমন্ত সোরেন। তিনি বলেন, দেশের সব জায়গায় পিছিয়ে পড়া মানুষদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। আর তাই ২০১৯ সালে লড়তে হবে।
গুজরাটের নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেভানি বলেন ভারতের সংবিধান আক্রান্ত। গত সাড়ে চার বছর ধরে ভারেতের সমস্ত সম্প্রদায় আক্রান্ত হয়েছে। এ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি নতুন সরকার তৈরি হলে জেলে বন্দি নকশালপন্থীদের মুক্তির দাবিও করেছেন জিগনেশ।
বলতে উঠে মমতাকে ধন্যবাদ দিলেন গুজরাটের হার্দিক প্যাটেল। তিনি বলেন এক সময় নেতাজি বাংলার মাটি থেকে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন আর এবার বাংলা বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে লড়বে।
অনেকে বক্তব্য রাখবেন বলে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই সভা শুরু হচ্ছেঃ মমতা
সভায় আগত নেতাদের সঙ্গে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো
বিগ্রডে সমাবেশে এলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার
ব্রিগেডের সমাবেশে এসে পৌঁছলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিন
তৃণমূলের মঞ্চে এলেন মাত্র কয়েক দিন আগে অসমে গিয়ে নিগ্রহের শিকার হওয়া কবি শ্রীজাত
বিশিষ্ট গায়ক ও প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন গেলেন তৃণমূলের মঞ্চে। তাঁর জনপ্রিয় গানও শোনাচ্ছেন আগত কর্মী- সমর্থকরা।
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ সব জায়গা থেকেই মিছিল চলছে । সভা শুরুর আগেই প্রায় ভরে গিয়েছে ব্রিগেডের মাঠ। যে সমস্ত কর্মী-সমর্থকরা ব্রিগেডে পৌঁছতে পারবেন না তাঁরাও যাতে সভার বক্তব্য শুনতে পারেন তার জন্য এলইডি স্ক্রিনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে ।
শ্যামবাজার, শিয়ালদা সহ কলকাতার একাধিক জায়গায় থেকে মিছিল এগোচ্ছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের দিকে
সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতা বিমান বন্দরে এসে পৌঁছলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা
ব্রিগেডের মাঠে এসে পৌঁছেচেন মমতা ব্যানার্জি।
বিরোধীদের সভাকে এক হাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। টুইটে তিনি দাবি করেছেন দুর্নীতিতে যুক্ত নেতারা মোদী সরকারের থেকে বাঁচতে একত্রিত হয়েছেন। কলকাতায় আজ নাটক হচ্ছে।
মঞ্চ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখার বার্তা দেওয়া হচ্ছে । সকাল থেকে মাঠের একটি করে ব্লক ভরে যাচ্ছে ।
ব্রিগেডের ময়দানে শুরু হল ধামসা - মাদলের অনুষ্ঠান
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে ঐক্যবদ্ধ ভারতের খণ্ডচিত্র আজ সমাবেশ মঞ্চে দেখা যাবে।
কয়েকটি আদিবাসী সংগঠনও এই সমাবেশকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে। বড় মছিল নিয়ে তারাও এগিয়ে চলেছেন ব্রিগেডের দিকে।
এই বিজেপি বিরোধী সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল।
গত দু'দিন ধরে জেলা থেকে কলকাতায় আসছেন দলীয় কর্মীরা। দলের তরফে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে । গতকাল রাত থেকেই ব্রিগেডের দিকে এগোতে থাকেন বহু মানুষ। সকাল হতেই ভিড় বাড়ছে ।
দলীয় সমাবেশের আগে সাত সকালে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে তিনি লেখেন আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্রিগেডের ঐতিহাসিক সমাবেশ শুরু হতে চলেছে। রাজ্যে আসা জাতীয় নেতাদের আমি স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে লাখ লাখ মানুষ এসে পৌঁছেছেন।