“ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুবর্ণসুযোগ”: প্রধানমন্ত্রীর সেরা ১০টি উক্তি

ভারতে আপনারা, এখন এমন একটি সরকার দেখতে পাবেন, যা তার শক্তি এবং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য পুনর্নির্বাচিত হয়েছে। এই নির্বাচনে, ১৩০ কোটি ভারতবাসী এমন একটি সরকারকে বেছে নিয়েছে, যারা বড় সংস্কার করা থেকে পিছিয়ে যায় না। এর মাধ্যমে, মানুষ জানিয়ে দিয়েছে, তারা উন্নয়নের পক্ষে।
 

সম্পদ তৈরিকে সম্মান করে ভারত সরকার। আমরা একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ হিসেবে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর ঘোষণা করেছি, বিনিয়োগকে আরও উৎসাহ জোগাতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ৫০টি এমন পুরানো আইন আমরা অবলুপ্তি করেছি, যেগুলি উন্নয়নের পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যাঁদের সঙ্গেই আমি কথা বলেছি, তাঁরাই এটিকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন।
 

আমরা আমাদের প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে উন্মুক্ত করে দিয়েছি, তা আগে কখনও করা হয়নি। আমাদের সরকার, ব্যাপক এবং স্বচ্ছতায় জোর দিয়েছে। আগে যেখানে করের জাল ছিল, এখন সে জায়গায় মাত্র একটি কর, সেটি হল পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি। আমাদের সংস্কারের কারণে, সমস্ত আন্তর্জাতিক তালিকায় ওপরে উঠছে ভারত। আপনারা যদি ভারত ও বিশ্বের জন্য মেক ইন ইন্ডিয়ায় আসতে চান, তাহলে ভারতে আসুন।
 

আমার নতুন সরকারের তিন থেকে চারমাসের মধ্যে এই সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে। এগুল সবে শুরু, আরও অনেক কিছু বাকি আছে। ভারতের অংশীদার হওয়ার এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ। যদি বিস্তৃর্ণ বাজার চান, তাহলে ভারতে আসুন।
 

আমাদের মতো, পরিকাঠামোক্ষেত্রে ভারতের কোনও সরকার বিনিয়োগ করেনি। নাগরিকবান্ধব বিভিন্ন পরিকাঠামোর মাধ্যমে আমরা দ্রুত শহকগুলির আধুনিকিকরণ করছি। বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সঙ্গে, চাহিদাও বাড়ছে। আপনারা যদি ভারতের বৃদ্ধির শরিক হতে চান, ভারতে আসুন।
 

যদি আপনারা কোথাও কোনও শূন্যস্থান পান, আমি ব্যক্তিগতভাব সেতুবন্ধনের কাজ করব। আমাদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি এবং বিচারবিভাগ বিনিয়োগের নিরাপত্তা প্রদান করে। আমাদের জনঘনত্ব আমাদের গবেষণা এবং কারিগরির ভিত তৈরি করে।
 

আপনাদের ইচ্ছা এবং আমাদের স্বপ্নের মিল রয়েছে। আপনাদের প্রযুক্তি এবং আমাদের প্রতিভা বিশ্বকে বদলে দিতে পারে। আপনাদের মাপকাঠি এবং আমাদের দক্ষতা একসঙ্গে বিশ্বের অর্থনীতিতে বদল আনতে পারে। সেই কারণেই, আমি বলি, ভারতে আসুন।
 

ভারতের জীবনশৈলী বিশ্বের কাছে একটি দৃষ্টান্ত। নীতিগতভাবে, আমরা বিশ্বাস করি, এই বিশ্ব আমাদের মাতা। এর শোষণ করার, আমাদের কোনও অধিকার নেই, আমরা শুধু এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারি। আমরা প্রয়োজনীয়তা বুঝি, তবে লোভের কোনও জায়গা নেই।
 

আমরা পুনর্নবীকরণ শক্তির সময়ে রয়েছি, আমরা ইতিমধ্যেই ১২০ গিগাওয়াটের লক্ষ্যে পৌঁছেছি। জল সংরক্ষণেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালু করেছি, এবং একক ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে বড় কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।
 

আমরা বিশ্বের সব চেয়ে বড় স্বাস্থ্য-সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্প চালু করেছি। কানাডা, মেক্সিকো আমেরিকার যৌথ জনসংখ্যার থেকেও বেশী মানুষেকে সুবিধা দিতে পারবে। বিশ্বের খাদ্যের বাজার তৈরিতে আমরা জৈব চাষের দিকে এগিয়ে চলেছি।