This Article is From Apr 11, 2019

কেমন দেখতে সর্বগ্রাসী কৃষ্ণ গহ্বর? প্রকাশ পেল মহাজাগতিক বিস্ময়ের প্রথম ছবি!

চিত্রটিতে কৃষ্ণ গহ্বরের চারপাশে আলো এবং অন্ধকারের সীমান্ত দেখা যাচ্ছে। যাকে বলে ইভেন্ট হরাইজন। এটি হল পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন।

কেমন দেখতে সর্বগ্রাসী কৃষ্ণ গহ্বর? প্রকাশ পেল মহাজাগতিক বিস্ময়ের প্রথম ছবি!

নতুন ছবিটি ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ (Event Horizon Telescope) থেকে তোলা

ব্ল্যাক হোল (black hole) শব্দটা শুনলেই যেন এক অসীম কৃষ্ণগহ্বর কৌতূহল বাড়িয়ে দিত মাথার মধ্যে, মনের মধ্যে। কী এই কালো শূন্যতা? কেমনই বা দেখতে? কী আছে এর গহ্বরে যা নিমেষে শুষে নিতে পারে সব? বিজ্ঞানীরা অবশেষে কৌতূহল মিটিয়েছেন। ভয়ঙ্কর সেই কৃষ্ণ গহ্বরের প্রথম সরাসরি ছবি (image of a supermassive black hole) ক্যামেরাবন্দী করেছেন তাঁরা। মহাজাগতিক এই বিস্ময়ের সর্বোচ্চ প্রত্যাশিত চিত্রটি মেসিয়ার 87 এর কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাক হোলের, যা বৃহত্তম গ্যালাক্সি (Messier 87, the largest galaxy), প্রায় ৫৪ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। 

নিজে হাতে গড়া বিমান ওড়াতে চেয়ে প্রশাসনের দরজায় স্কুলছুট পাক পপকর্ন বিক্রেতা!

নতুন ছবিটি ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ (Event Horizon Telescope) থেকে তোলা। এটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা ১০ টি রেডিও টেলিস্কোপের নেটওয়ার্ক এবং এটি একটি একক রিসিভার হিসাবে কাজ করছে, যা উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও তরঙ্গগুলির সাথে সংযুক্ত।

চিত্রটিতে কৃষ্ণ গহ্বরের চারপাশে আলো এবং অন্ধকারের সীমান্ত দেখা যাচ্ছে। যাকে বলে ইভেন্ট হরাইজন। এটি হল পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন অর্থাৎ, যেখানে ব্ল্যাক হোলের মাধ্যাকর্ষণ এতই চরম হয়ে যায় যে, প্রবেশ করে গিয়েছে এমন কোনও কিছুই আর ফিরে আসতে পারে না। ব্ল্যাক হোলের কেন্দ্রস্থলে, সময় ও স্থান নিজেদের মধ্যেই এত বক্র হয়ে যায় যে পদার্থবিজ্ঞানের কোনও নিয়ম কানুন দেখানে খাটে না।

২০১৭ সালের এপ্রিলে চারটি মহাদেশের EHT জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা (EHT astronomers) সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল পর্যবেক্ষণের জন্য তাদের প্রচেষ্টার সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন। মিল্কি ওয়ে এবং এম 87-এর ( Milky Way and in M87) কেন্দ্রস্থলে দেখতে পাওয়া দু'টি ব্ল্যাকহোল প্রায় একই আকারের, কারণ M87 কৃষ্ণ গহ্বরটি অনেক বড় হলেও এটি আরও অনেক দূরে অবস্থিত।

পর্যবেক্ষণ সঞ্চালনার জন্য, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের খারাপ আবহাওয়া এবং বৈদ্যুতিক গ্রিডের সঙ্গেও মোকাবিলা করতে হয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের হস্তক্ষেপ এড়াতে অক্সিজেন ট্যাঙ্কসহ তিন মাইল উঁচু পর্বত আরোহণ করেন। তারপরে তাঁরা দুই বছর ধরে ট্রাকলোডের তথ্যগুলিকে বিশ্লেষণ করেন, যার মধ্যে কয়েকটি দক্ষিণ মেরু থেকে হার্ড ড্রাইভে পাঠানো হয়েছিল এবং এমআইটিতে সুপারকম্পিউটারে ডিফ্রস্টেড করা হয়েছিল। অবশেষে, তারা এক মিলিয়ন স্টিমুলেশনগুলির ফলাফলের সঙ্গে তাদের ফলাফলগুলি পরীক্ষা করে একটি কালো গহ্বর দেখতে পান। 

স্কুলের পোশাকে ঘোড়ায় চড়ে কেন স্কুলের পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন এই পড়ুয়া?

এই আবিষ্কারের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ১০০ বছরেরও বেশি আগে, যখন আলবার্ট আইনস্টাইন (Albert Einstein) আধুনিক মহাকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞানের সমীকরণ ( modern gravitational physics) প্রকাশ করেছিলেন। ১৯১৫ সালে প্রথম বর্ণিত সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ (General relativity), মহাবিশ্বের স্থান এবং সময় বিশেষে মাধ্যাকর্ষণকে ব্যাখ্যা।

আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার সমীকরণ তৈরির কয়েক মাস পর, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী কার্ল শোয়ার্জচিল্ড (German physicist Karl Schwarzschild) গণনা করেন যে, যদি কোন বস্তু যথেষ্ট পরিমাণে ঘন হয় তবে এটি স্পেসটাইমে একটি ‘এককত্ব' হিসাবে পরিচিত একটি তলদেশ তৈরি করবে। যে তলদেশের নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের মধ্যে (‘ইভেন্ট হরাইজন' নামে পরিচিত) একটি অঞ্চল মাধ্যাকর্ষণ গ্রাস করে নেবে। কৃষ্ণ গহ্বর গ্যাসের মেঘ, নক্ষত্র গ্রাস করে নেয়; এমনকি আলোও পালাতে পারবে না।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.