This Article is From Feb 06, 2020

"শুধু শরণার্থী শিবির থাকবে, আর সব কিছু বিক্রি করে দেবে বিজেপি": Mamata Banerjee

Anti CAA Protest: "বিজেপি দিল্লির নির্বাচনেও হেরে যাবে, অবশ্য বিভিন্ন রাজ্যে হেরে যাওয়ার পরেও তাদের লজ্জা নেই", বললেন তৃণমূল নেত্রী

Citizenship Amendment Act: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

হাইলাইটস

  • এবার কেন্দ্রের বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • এয়ার ইন্ডিয়া, এলআইসির বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তিনি
  • বিজেপি সব বিক্রি করে দেবে বলে রাজ্য তথা দেশের মানুষকে হুঁশিয়ার করলেন মমতা
কৃষ্ণনগর:

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি। এবার তিনি কেন্দ্রের বাণিজ্য নীতি এবং নাগরিকত্ব নীতি, দুটোরই তীব্র নিন্দা করলেন। মমতা বলেন, এই সরকার সব কিছুই বিক্রি করে থাকবে, দেশে পড়ে থাকবে শুধু কিছু শরণার্থী শিবির। এর আগেও একাধিকবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে (Anti CAA Protest) সরব হতে দেখা গেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee)। তিনি বেঁচে থাকতে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) সিএএ লাগু করা যাবে না বলেও কেন্দ্রকে এর আগে বেশ কয়েকবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এবার তাঁর তোপের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিও। কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের এক সভা থেকে দলনেত্রী বলেন,"বিজেপি দিল্লির নির্বাচনেও হেরে যাবে, এর আগেও একের পর এক রাজ্যে হেরেছে তারা, অবশ্য বিভিন্ন রাজ্যে হেরে গিয়েও তাদের লজ্জা নেই। ওরা সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে, দেশে পড়ে থাকবে কিছু শরণার্থী শিবির"।

"ওরা এয়ার ইন্ডিয়া, এলআইসিকে বেসরকারিকরণ করছে এবং এমনকি ভারতীয় রেলেরও বেসরকারিকরণের কথা ভাবছে ওরা। আমাদের টাকা এখন আর নিরাপদ থাকবে না", একথাও বলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি রাজ্য জুড়ে হিংসার রাজনীতি করছে, রাজ্যের মানুষের উচিত ওদের এই কাজ কারবারের দিকে নজর রাখা।

বিজেপি ‘ফেকুদের' দল: কৃষ্ণনগরে বিজেপিকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

"গত ৬ বছর ধরে কেন্দ্রে বিজেপির সরকার রয়েছে, অথচ তারা বাংলার জন্যে কিছুই করেনি। বরং নদিয়ায় আমার দলের বেশ কয়েকজন কর্মীকে হত্যা করেছে। বিজেপি যদি মনে করে যে কেবল হিংসার রাজনীতি করেই বাংলা জয় করতে পারবে তাহলে ওরা ভুল করছে, মানুষ ওদের দিকে নজর রাখছে, এই সব মনে রাখবে জনগণ", হুঙ্কার ছাড়েন তিনি

মমতার তোপের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করছেন তাদের বিরুদ্ধে যেভাবে "গোলি মারো" (গুলি করুন) মন্তব্য করেছেন তিনি, তার জন্যে ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।

"শাহিনবাগে মহিলারা বিক্ষোভে বসেছেন এমনকি আমাদের রাজ্যেও মহিলারা বিক্ষোভ করছেন। অথচ একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন যে ওদের গুলি করে দাও। এই কথা বলার পরে তিনি কীভাবে তার পদে (মন্ত্রিসভায়) বহাল রয়েছেন?", প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবে গণতন্ত্রে কখনোই যখন তখন মানুষকে গুলি মারার কথা বলা যায় না, বলেন তৃণমূল নেত্রী।

CAA, NRC, NPR যেন "ব্ল্যাক ম্যাজিক", বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

"এখন লোকসভায় সরকার বলছে যে এনআরসি হবে না। ওরা যখন তখন ওদের কথা পাল্টাচ্ছে। এনপিআর যদি এনআরসিরই প্রথম পদক্ষেপ হয় তবে আমরা কেন সেটা করতে রাজি হব?", কেন্দ্রে উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁঁড়ে দেন বঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ বা এনপিআরের কাজ করা হবে না । কেননা এনপিআর আসলে এনআরসিরই প্রথম পদক্ষেপ, মনে করেন তিনি।

.