This Article is From Nov 01, 2019

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ করানোর দাবি বিজেপির

Assembly Bypoll: ২৫ নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সদর বিধানসভা আসন, নদিয়ার করিমপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ করানোর দাবি বিজেপির

রাজ্যের ৩টি বিধানসভা উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি তুললেন Dilip Ghosh

কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গের তিনটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে (assembly bypoll) "অবাধ ও নিরপেক্ষ" ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আগামী ২৫ নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর সদর বিধানসভা আসন, নদিয়ার করিমপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। "আমরা গত লোকসভা নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা দেখেছি। তাই আমরা রাজ্যে (West Bengal) এমন একটি নির্বাচন চাই যেখানে শান্তিমতো বিনা রক্তক্ষয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। আর সেই লক্ষ্যেই ভোটগ্রহণের সময় এই কেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা জরুরি", বলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এখনও এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

এনসিআরবির নয়া তথ্য সামনে রেখে নতুন করে এনআরসির দাবি তুলতে চায় বিজেপি

সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও বলেন যে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় যেভাবে এ রাজ্যে রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা ঘটেছে সেই স্মৃতি মুছে ফেলতে অবশ্যই এই উপনির্বাচনকে হিংসার পরিবেশ থেকে মুক্ত রাখতে হবে।

কালিয়াগঞ্জ আসনে কংগ্রেসে বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মৃত্যুর পরে সেখানকার উপনির্বাচন করানোর প্রয়োজন পড়ে । পাশাপাশি খড়গপুর সদর আসনটিও মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি'র দিলীপ ঘোষ নির্বাচিত হওয়ার পরে শূন্য হয়ে পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা আসন থেকে জয়ী হওয়ার পর করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রটিও বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়ে।

শ্রমিকদের ভিনরাজ্যে যাওয়া আটকাতে কর্মসংস্থান বাড়াক রাজ্য সরকার:দিলীপ ঘোষ

রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের পর আগামী ২৫ নভেম্বরের এই উপনির্বাচন ঘিরে তাল ঠুকছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। এই উপনির্বাচনের মাধ্যমেই এ রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির প্রথম মুখোমুখি শক্তি পরীক্ষা হবে এবং এর ফলাফলই বুঝিয়ে দেবে যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হাওয়া কোন দিকে বইছে। এর আগে লোকসভা নির্বাচনে, গেরুয়া দল রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮ টি দখল করে, যা কিনা ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মাত্র ৪টি আসন কম।

অর্থাৎ এ রাজ্যের জমিতে ঘাসফুলের দলকে রীতিমতো কড়া চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে গেরুয়া পদ্ম বাহিনী। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির নজর করেছে তাঁরা। ফলে তার আগে এই উপনির্বাচনে বিজেপি নিজেদের বঙ্গীয় ক্ষমতা আরও একবার যাচাই করে নিতে পারবে। আর শাসক দল তৃণমূলও চাইবে বিধানসভা নির্বাচনের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামার আগে রাজ্যে গেরুয়া হাওয়ার গতিপ্রকৃতি বুঝে নিতে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.