This Article is From Dec 26, 2019

দিল্লির 'টুকরে-টুকরে' গ্যাংয়ের একটা শিক্ষা হওয়া উচিত: অমিত শাহ

'টুকরে-টুকরে 'শব্দ, ডানপন্থী শিবিরের একটা অস্ত্র, যা তারা বিরোধী এবং তার শরিকদের প্রতি আক্রমণের সুর চড়াতে ব্যবহার করে

দিল্লির 'টুকরে-টুকরে' গ্যাংয়ের একটা শিক্ষা হওয়া উচিত: অমিত শাহ

দিল্লিতে গত দু'সপ্তাহ ধরে চলা সিএএ-বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলে এমন কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নয়া দিল্লি:

দিল্লির 'টুকরে-টুকরে' গ্যাংয়ের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। দিল্লিতে গত দু'সপ্তাহ ধরে চলা সিএএ-বিরোধী হিংসাত্মক আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে এমন কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, "দিল্লির হিংসায় বিরোধীদের উসকানি আছে। তারাই জনগণকে ভুলপথে চালিয়েছে। দিল্লির টুকরে-টুকরে গ্যাংয়ের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার।' বছর ঘুরলেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। সে বিষয়টা  মাথায় রেখে আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারানোর ডাক এভাবেই দিল্লির ওই অনুষ্ঠান থেকে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দাবি বিজেপির। তাঁর আরও অভিযোগ, 'সিএএ নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। সে সময় কেউ (বিরোধী দল) কিছু বলেনি। যেই ওরা সংসদের বাইরে এসেছে মানুষকে ভুল পথে পরিচালনা করছে।'   
উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে তাঁর  আবেদন, 'আমি বলতে চাই আপনারা কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলা টুকরে-টুকরে গ্যাংকে শাস্তি দিন।  ওরাই দিল্লির হিংসার জন্য দোষী। দিল্লির মানুষের উচিত, ওদের শাস্তি দেওয়া।'  
'টুকরে-টুকরে 'শব্দ, ডানপন্থী শিবিরের একটা অস্ত্র, যা তারা বিরোধী এবং তার শরিকদের প্রতি আক্রমণের সুর চড়াতে ব্যবহার করে। গত রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায় এক সুর শোনা গিয়েছিল।

তিনিও দেশব্যাপী চলা হিংসাত্মক আন্দোলনের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করে দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস এবং তার কিছু সহযোগী, শহুরে নকশালরা গুজব ছড়াচ্ছে, মুসলিমদের ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হবে। কিন্তু কেউ ওদের ডিটেনশন সেন্টারে পাঠাচ্ছে না, আর ভারতে কোনও ডিটেনশন সেন্টারও নেই। রবিবারের সেই জনসভা, আদতে বিজেপির দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রচার ছিল। প্রায় দু'দশক পর  দিল্লিতে ফের ক্ষমতায় ফিরতে গেরুয়া শিবির চেষ্টা করছে। ফলে রবিবারের পর এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সভাপতি সিএএ বিরোধী আন্দোলনের জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষা দিতে আবেদন করলেন। জানা গিয়েছে, সিএএ'র মাধ্যমে ভারতে এই প্রথম নাগরিকত্ব-পরীক্ষা করা হবে। সরকারি সূত্র বলেছে, ধর্মীয় কারণে মুসলিম অধ্যুষিত পড়শি রাষ্ট্রগুলি থেকে যে সংখ্যালঘুরা ভারতে এসেছেন, এই আইন তাঁদের সাহায্য করবে। কিন্তু সমালোচকদের দাবি, এটা আদতে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।

.