Rahul Gandhi: "আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ফেসবুক সম্পর্কে সত্যিটা প্রকাশ করে ফেলেছে", টুইট সনিয়া পুত্রের
হাইলাইটস
- মার্কিন একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করলো কংগ্রেস
- জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করছে বিজেপি
- ফেসবুকের মাধ্য়মে ভুয়ো খবর ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বিজেপি, আক্রমণ কংগ্রেসের
এবার ফেসবুক (Facebook) ইস্যুতে শাসক দল বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। রবিবারই একটি বিদেশি প্রকাশনা সংস্থার একটি লেখায় এমন অভিযোগ করা হয় যে, ফেসবুকের মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন বিজেপির নেতারা। আর এই লেখাকেই হাতিয়ার করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP), কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আনা হয়েছে এমন অভিযোগও। যদিও কংগ্রেসের এই আক্রমণের জবাবে পাল্টা ওই দলের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি।কেন্দ্রের শাসক দলটি কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ডেটা কেলেঙ্কারির উল্লেখ করে বলেছে যে, কংগ্রেসের অন্তত অন্যের দিকে দোষারোপের আঙুল তোলা উচিত নয়।
সংসদের অ্যানেক্স ভবনের ৭ তলায় আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল নামে একটি মার্কিন পত্রিকায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। ওই পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয় যে শাসক দল বিজেপির নেতা ও কর্মীদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং আপত্তিজনক বিষয়বস্তু প্রচার করার জন্য ফেসবুককে ব্যবহার করা হচ্ছে।
রাজভবনে নজরদারি চলছে, অভিযোগ রাজ্যপালের, কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদের
ওই জার্নালে আরও জানানো হয়েছে যে, ওই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের একজন কর্মকর্তা এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে যদি এর জন্য তাঁদের তরফ থেকে কোনওরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে ভারতে "তাঁদের সংস্থার ব্যবসার ক্ষতি করা হবে"। মার্কিন ওই জার্নালে বর্তমান এবং প্রাক্তন বিজেপি কর্মীদের নানা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য তুলে ধরে দেখানো হয়েছে, কীভাবে বিজেপির প্রতি ফেসবুকের "পক্ষপাতিত্বের আচরণ" রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি সামলাতে বা লাদাখ ইস্যু নিয়ন্ত্রণ করতে ব্য়র্থ কেন্দ্রীয় সরকার, এই বলে এতদিন কেন্দ্রকে বিঁধছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। এবার তিনি এই জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধকেই হাতিয়ার করেছেন। এবিষয়ে বিজেপিকে লক্ষ্য করেতিনি টুইট করেন:
BJP & RSS control Facebook & Whatsapp in India.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 16, 2020
They spread fake news and hatred through it and use it to influence the electorate.
Finally, the American media has come out with the truth about Facebook. pic.twitter.com/Y29uCQjSRP
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুরও এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের নিন্দা করেছেন। "সংসদের তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি অবশ্যই এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া সম্পর্কে @ ফেসবুকের কথা শুনতে চাইবে।"
তবে যখনই কংগ্রেস বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ঠিক সেই সময়ই পাল্টা তাঁদের চাপে রাখতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ প্রায় বছর তিনেকের পুরনো কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ইস্যুর কথা তুলে ধরে বিরোধী দলকে বিঁধে টুইট করেন।
Losers who cannot influence people even in their own party keep cribbing that the entire world is controlled by BJP & RSS.
— Ravi Shankar Prasad (@rsprasad) August 16, 2020
You were caught red-handed in alliance with Cambridge Analytica & Facebook to weaponise data before the elections & now have the gall to question us? https://t.co/NloUF2WZVY
বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র যাঁর বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি সহিংসতার আগে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগ উঠেছিলো তিনিও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। "মনে হচ্ছে কংগ্রেস নিজেদের গুরুতর অপরাধ আড়াল করতেি ফেসবুককে ব্ল্যাকমেল করছে ... কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারিতে প্রকাশ্যে এসে গেছে কীভাবে কংগ্রেস মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেছিলো", টুইটে লেখেন তিনি।
এদিকে কংগ্রেসকে রীতিমতো "হেরো" বলে কটাক্ষ করে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, "যেহেতু আপনার পরিবার আর দেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না তাই সেই পরাজয়ের গ্লানি থেকেই এই সব কথা আপনি বলছেন।"