This Article is From Jun 23, 2019

শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুদিনে বিজেপির আক্রমণ কংগ্রেস ও জওহরলাল নেহরুকে

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে তাঁর আত্মীয়দের অনুরোধ সত্ত্বেও মৃত্যুর তদন্ত না করার জন্য জওহরলাল নেহরুর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলল বিজেপি।

শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুদিনে বিজেপির আক্রমণ কংগ্রেস ও জওহরলাল নেহরুকে

১৯৫৩ সালে জওহরলাল নেহরু সরকারের মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ শ্রীনগরের পুলিশ হেফাজতে মারা যান।

হাইলাইটস

  • রবিবার ছিল শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুদিন।
  • তাঁর মৃত্যুর তদন্ত না করার জন্য কংগ্রেসকে আক্রমণ বিজেপির।
  • বিজেপির জেপি নাড্ডা ও বিএস ইয়েদুরাপ্পা এই নিয়ে সরব হন।
নয়াদিল্লি:

ভারতীয় জন সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Syama Prasad Mookerjee) মৃত্যুর পরে তাঁর আত্মীয়দের অনুরোধ সত্ত্বেও মৃত্যুর তদন্ত না করার জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) দিকে অভিযোগের আঙুল তুলল বিজেপি (BJP)। দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কর্নাটকের রাজ্য বিজেপির প্রধান বিএস ইয়েদুরাপ্পা রবিবার এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত করলেন কংগ্রেসকে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ইয়েদুরাপ্পা জানান, ‘‘রহস্যময় ভাবে ওঁর মৃত্যু হয়েছিল। তৎকালীন জওহরলাল নেহরুর কংগ্রেস সরকার কোনও তদন্তই করেনি। শোকগ্রস্ত শ্যামাপ্রসাদের মায়ের লেখা চিঠির কোনও উত্তর দেননি নেহরু।''

Budget 2019: শিল্প বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী

পিটিআইকে নাড্ডা বলেন, ‘‘গোটা দেশ শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুর তদন্ত চেয়েছিল। কিন্তু জওহরলাল নেহরু তার নির্দেশ দেননি। ইতিহাস সাক্ষী আছে। শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু বিফলে যাবে না এবং বিজেপি সে ব্যাপারে দায়বদ্ধ।''

করুণ অবস্থা কৃষকদের, গত চার বছরে দৈনিক আটজন কৃষকের আত্মহত্যা

১৯৫৩ সালে জওহরলাল নেহরু সরকারের মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ শ্রীনগরের পুলিশ হেফাজতে মারা যান। কাশ্মীরে বেআইনি ভাবে প্রবেশের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পারমিট দেখতে চাইলেও তিনি দেখাননি। তাঁর মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে বারংবার বাদানুবাদ হয়েছে।

ইয়েদুরাপ্পা দাবি করেন, কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিষ্কার, সংবিধানের ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ, যা কাশ্মীরকে ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' দেয়, তা বাতিল করা নিয়ে শ্যামাপ্রসাদের সংগ্রাম কতটা প্রয়োজনীয় ছিল। কাশ্মীর সম্পর্কে শ্যামাপ্রসাদের দাবি ছিল ‘এক দেশ, এক নিশান, এক বিধান এবং এক প্রধান'।

কর্নাটকের বিজেপি রাজ্য সভাপতি ইয়েদুরাপ্পা দাবি করেন, কেবল শ্যামাপ্রসাদই নন, সংবিধানের রূপকার বিআর আম্বেদকর ও প্রথম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলও ‘আক্রান্ত' হন নেহরুর আমলেই। তিনি বলেন, ‘‘শ্যামাপ্রসাদ সংসদের বাইরে ও ভিতরে সংগ্রাম করেছিলেন সংবিধানের ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ বাতিল করার জন্য।''

কংগ্রেসের মিছিলে কর্মী-পুলিশ সংঘর্ষ, মিছিলে অনুপস্থিত কয়েক জন হেভিওয়েট নেতা

সংবিধানের ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং পরিবর্তন করবেন।

শ্যামাপ্রসাদকে নিয়ে টুইট করেন নরেন্দ্র মোদিও। তিনি লেখেন, ‘‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করছি বলিদান দিবসে। একজন ধর্মপ্রাণ দেশভক্ত ও গর্বিত জাতীয়তাবাদী ড. মুখোপাধ্যায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন ভারতের একতার জন্য। শক্তিশালী ও সংঘবদ্ধ ভারতের জন্য তাঁর আবেগ আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায় এবং ১৩০ কোটি ভারতীয়কে শক্তি দেয়।''

.