This Article is From Jul 10, 2019

পশ্চিমবঙ্গের পুরসভাগুলির প্রশাসনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে বিল পাস বিধানসভায়

বিরোধীদের বক্তব্য পুরসভাগুলির মেয়াদ শেষের পর নির্বাচন এড়াতেই এই পশ্চিমবঙ্গ পুর আইন সংক্রান্ত সংশোধনী বিল আনা হয়

পশ্চিমবঙ্গের পুরসভাগুলির প্রশাসনের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে বিল পাস বিধানসভায়

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাস পুর আইন সংশোধনী বিল

কলকাতা:

মঙ্গলবার, রাজ্যের পুরসভাগুলির প্রশাসকদের মেয়াদ বৃদ্ধিতে পশ্চিমবঙ্গ মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট ১৯৯৩ (West Bengal Municipal Act, 1993) অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ পুর আইন সংক্রান্ত সংশোধনী বিল পাস হল রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। লোকসভা নির্বাচনের ফলের বিরোধী দল বিজেপির (BJP) ভাল ফল করার  পর থেকেই দেখা গেছে যে কাউন্সিলরদের দলবদলের কারণে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত অনেকগুলি পুরসভারই দখল নিয়ে নিয়েছে গেরুয়া দল।এই পরিস্থিতি আটকাতেই এই সংশোধনী বিল আনা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বিধানসভায় এই বিল আনার পরেই আপত্তি জানায় বিরোধী দলগুলি। তাঁদের বক্তব্য পুরসভাগুলির মেয়াদ শেষের পর নির্বাচন এড়াতেই এই সংশোধনী বিল আনা হয়েছে। জনসমর্থন হারানোর পরেও ক্ষমতা ধরে রাখতেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এই অগণতান্ত্রিক উপায় অবলম্বন করছে বলে যুক্তি দেয় বিরোধী দলগুলি।বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, একমাত্র জরুরি অবস্থা জারি থাকলে নির্বাচনে দেরি হতে পারে, কিন্তু এ রাজ্যে বর্তমানে তেমন কোনও পরিস্থিতি নেই।তিনি কটাক্ষ করে আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এখন সুপার এমার্জেন্সি চলছে।আসলে নির্বাচনে হারের ভয় এড়াতেই শাসক দল (TMC Government) এই পথ অবলম্বন করছে বলেও অভিযোগ করেন ওই বিজেপি বিধায়ক।জবাবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন মানুষের স্বার্থেই এই মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে, না হলে বছরভর নির্বাচনের কাজে নেতারা ব্যস্ত থাকলে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম স্থগিত হয়ে থাকবে।

বিমান সারাতে গিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় মৃত স্পাইসজেটের কর্মী

গত বৃহস্পতিবারই বিধানসভায় আরও দুটি সংশোধনী বিল পাস হয় যার সাহায্যে রাজ্যের পুর কর্পোরেশনগুলির প্রশাসকদের মেয়াদ বর্তমানের ৬ মাস থেকে ১ বছর বাড়ানো সম্ভব।গত লোকসভা নির্বাচনে শাসক দলকে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার পর রাজ্যে ক্রমশই শক্তি বৃদ্ধি করছে বিজেপি।ইতিমধ্যেই ৬জন বিধায়ক সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। মোট ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টি আসন জিতে নেয় বিরোধী দল বিজেপি।এছাড়াও শাসক দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দলবদল করে গেরুয়া দলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল পরিচালিত ৬টি পুরসভারও দখল নিতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি।ওই ৬টি পুরসভার মধ্যে ৫টি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এবং ১টি দার্জিলিং জেলার। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দার্জিলিং ও নৈহাটি পুরসভা ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে আগামী ৬ মাসের জন্যে নতুন করে প্রশাসক নিয়োগ করেছে ।

মমতার নাম ব্যবহার করে ভুয়ো সদস্যকার্ড, বিজেপিকে দুষল তৃণমূল

মঙ্গলবার বিধানসভায় পাস হওয়া ওই সংশোধনী বিলের সাহায্যে রাজ্যের বিভিন্ন ইতিহ্যবাহী কাঠামোগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্যেও পুর প্রশাসনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন উত্তর ২৪ পরগনা জেরায় বিজেপির দখলিকৃত ৫ পুরসভার মধ্যে হালিশহর পুরসভাটি এখনও তৃণমূলেরই অধীনে রয়েছে।বিধানসভা চত্বরে সাংবাদিকদের সামনে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলরকে উপস্থিত করে ফিরহাদ জানান, ওই কাউন্সিলরদের জোর করে ভয় দেখিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি।কিন্তু বর্তমানে তাঁরা রাজধানী থেকে কোনক্রমে রাজ্যে ফিরে এসেছেন। রাজ্য সরকার তাঁদের সুরক্ষার জন্যে পুলিশি সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.