This Article is From Jun 18, 2019

আজ প্রথম মুজফফরপুরে এনকেফেলাইটিসে আক্রান্তদের দেখতে গেলেন নীতিশ কুমার

গত ১৬ দিনে বিহারে মহামারি আকার নিয়েছে এনকেফেলাইটিস সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই রোগটি থাবা বসিযেছে বহু মানুষের শরীরে। তার মধ্যে মারা গেছে ১২৬ জন শিশু।

সংক্রামক এনকেফেলাইটিসের লক্ষ্ণণ অনেকটাই ফ্লুয়ের মতো

হাইলাইটস

  • এনকেফেলাইটিসে আক্রান্তদের মুজফফরপুরে দেখতে যান নীতিশ কুমার
  • ইতিমধ্যেই রোগের বলি ১২৬ জন শিশু
  • গতকালই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধন এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন
পাটনা:

গত ১৬ দিনে বিহারে মহামারি আকার নিয়েছে এনকেফেলাইটিস (Encephalitis ) সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই রোগটি থাবা বসিযেছে বহু মানুষের শরীরে। তার মধ্যে মারা গেছে ১২৬ জন শিশু। যাদের মধ্যে ১০৭ জন মুজফফরপুর ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাযর বাসিন্দা। পত্র-পত্রিকা, রাজনৈতিক মহল এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও আজ ১৭ দিনের মাথায় মুজফফরপুরে (Muzzaffarpur) প্রথম পা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ( Nitish Kumar)।

গতকাল রাতে পর্যন্ত পাওয়া সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মুজফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা গেছে ৮৫ জন শিশু। কেজরিওয়াল মাতৃসদনে মৃত্যু হয়েছে ১৮ শিশুর। যদিও ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, মৃতদের আত্মীয়দের ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।" 

"কটা উইকেট পড়ল?": শিশু মৃত্যু নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর!

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন গতকাল একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এআইএমএস এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর একাধিক কর্মকর্তা। সম্মেলনে হর্ষ বর্ধন বলেন, "একেফেলাইটিস রুখতে এই মুহূর্তে প্রয়োজন উচ্চমানের এক গবেষক দলের।"

তিনি আরও জানান, "রোগটি কীভাবে মারাত্মক আকার ধারণ করল, কেনই বা এত দ্রুত ছড়াচ্ছে জানতে গেলে আশু গবেষণা প্রয়োজন। এবং দলটি এএএস-এর সঙ্গে যৌথভাবে শিশুদের সময়সীমা, রোগের কাল, চারপাশের পরিবেশ সহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখলে দ্রুত সমাধানের রাস্তা মিলবে। এছাড়াও, রোগ সম্বন্ধে আরও তথ্য জানাও জরুরি।"

শিশুমৃত্যু সংখ্যা ১০০ ছুঁতেই রবিবার মুজফফরপুর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান ডা. বর্ধন। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পাঁচটি ল্যাব প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে শিশুমৃত্যু ঠেকাতে শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ১০০ শয্যার শিশু ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) স্থাপনের নির্দেশও দেন।

এদিকে এনকেফেলাইটিস ভয়াবহ আকার নিতেই দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও বিহার সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি)।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক অফিসার জানিয়েছেন, "ইমিমধ্যেই গত কয়েক দিনে বিহারের মুজফফরপুরে জেলায় এনকেফালাইটিস এর কারণে শিশুদের মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা সম্পর্কে স্বাক্ষর করেছে এনএইচআরসি।"

এদিকে এনএইচআরসি-এর পক্ষ থেকে ইতিবাচক মন্তব্যে বলা হয়েছেস আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ঠেকানো সম্ভব হবে এই সংক্রমণ। এছাড়াও, শিশুমৃত্যু ঠেকাতে টিকাকরণ ও প্রচারের মাধ্যমে সজাগ করা হবে জনগণকে। এতদিন সঠিক ভাবে এই পদক্ষেপ অবলম্বন করা হয়নি বলেই রোগ এত মারাত্মক আকার নিয়েছে বলে দাবি সংস্থার। 

লোকসভার নতুন স্পিকার হতে পারেন বিজেপির সাংসদ ওম বিড়লা; সূত্র

প্রসঙ্গত, এনকেফেলাইটিসে একটি ভাইরাল রোগ। যা হলে রোগীদের মধ্যে প্রচণ্ড জ্বর, মাথাব্যথা এবং ফ্লু-এর সমস্ত লক্ষণগুলি দেখা দেয়। রাষ্ট্র স্বাস্থ্য বিভাগ হিপোগ্লাইসমিয়া এক সমীক্ষায় জানিয়েছে, এই রোগে রক্তে চিনির মাত্রা  অত্যধিক পরিমাণে কমে যাওয়াই মৃত্যুর প্রধান কারণ।

এনকেফেলাইটিসের পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহে বিহারে মারা গেছেন ৭০ জন।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ইতিমধ্যেই পাটনা, গয়ায় তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪৫.৮ ডিগ্রি। তাপপ্রবাহ জনিত মৃত্যু আটকাতে দিনে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে ওই দুই শহরে। যাতে বেশি মানুষ একসঙ্গে কোনও জায়গায় ভিড় জমাতে না পারেন। 

গয়া এবং পাটনা ছাড়াও তাপপ্রবাহে মৃত্যুর খবর এসেছে ঔরঙ্গাবাদ, নয়দা থেকেও। গত সপ্তাহে ঔরঙ্গাবাদে গরমে মারা গেছেন ২৭ জন।   

উত্তর ভারতে এই মুহূর্তে তাপপ্রবাহ চলছে দিল্লি, চুরু, রাজস্থান ও বান্দা এবং এলাহাবাদের উত্তরপ্রদেশে। এই চার শহরেই তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। 

আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে  আরও দুই দিন ধরে দেশের সর্বত্র চলবে এই তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ৪৫ থেকে ৪৭ ডিগ্রির মধ্যে। 

.