This Article is From Jan 22, 2020

‘‘সব বাগ হয়ে যাবে শাহিনবাগ’’: সিএএ-বিরোধিতা প্রসঙ্গে চন্দ্রশেখর আজাদ

চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘আমি বিজেপির বিরুদ্ধে। কেননা বিজেপি সংবিধানের বিরুদ্ধে।’’ দিল্লি নির্বাচনে তিনি সকলকে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানান।

গত শুক্রবার জামিন পান চন্দ্রশেখর আজাদ।

হাইলাইটস

  • চন্দ্রশেখরের দাবি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দলিত ও উপজাতিদেরও বিরুদ্ধে
  • গত শুক্রবার তিনি জামিন পান
  • ৩৩ বছরের নেতা কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করেন
নয়াদিল্লি:

কয়েকদিন আগে জামিন পাওয়ার পর ভীম আর্মি প্রধান (Bhim Army Chief) চন্দ্রশেখর আজাদ (Chandrashekhar Azad) তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকারে NDTV-কে জানালেন, ‘‘সময় আসছে, সব বাগ (বাগান) শাহিনবাগ (Shaheen Bagh) হয়ে যাবে।'' তিনি জানালেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কেবল মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়, দলিত ও উপজাতিদের বিরুদ্ধেও। চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ— সবচেয়ে বেশি দলিত-বিরোধী। এগুলি ওবিসি-বিরোধী ও উপজাতি-বিরোধীও। কেননা এই মানুষগুলিই সবচেয়ে বেশি ভুগবে। সময় এলে সব বাগ শাহিনবাগ হয়ে যাবে। আমরা চাই, সরকার তার কাজ করুক। কিন্তু মানুষ ভয় পেয়ে গিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, তিনি আইনটি নিয়ে পিছু হটবেন না। তিনি দেশকে বিভক্ত করতে চান, সংখ্যাগরিষ্ঠ অবস্থাতে ছাড়া তা করতে পারবেন না। তিনি সেটাই করছেন, যেটা তাঁর অ্যাজেন্ডায় ছিল।''

তিনি বলেন, ‘‘আমি বিজেপির বিরুদ্ধে। কেননা বিজেপি সংবিধানের বিরুদ্ধে।''  ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি নির্বাচনে তিনি সকলকে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানান।

দার্জিলিংয়ে সিএএ-এনআরসি বিরোধী মিছিলে হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

৩৩ বছরের নেতা কংগ্রেসকেও আক্রমণ করে বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমাদের (দলিত) ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে।''

গত শুক্রবার তিনি জামিন পান। কিন্তু তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয় ৪ সপ্তাহ দিল্লিতে না আসতে। কিন্তু মঙ্গলবার আদালত তাঁকে দিল্লিতে ফেরার অনুমতি দিয়েছে। তবে শর্ত, প্রতিদিন তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে হবে। পাশাপাশি কোনও রকম মিছিলেও তিনি অংশ নিতে পারবেন না।

CAA & NRC: হিম্মৎ থাকলে প্রয়োগ করে দেখান: অমিত শাহকে প্রশান্ত কিশোরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ

চন্দ্রশেখর দাবি করেন, তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৪৪ ধারাভঙ্গের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, তিনি একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে বিরোধিতায় অংশ নিয়েছিলেন।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। তাঁদের দাবি, এই আইনকে কাজে লাগিয়ে মুসলিমদের টার্গেট করা হতে পারে। তাঁদের আরও দাবি, এনপিআর হল এনআরসির প্রথম ধাপ।

.