This Article is From Mar 30, 2020

"কোনও স্বাস্থ্যকর্মীকে হেনস্থা করা যাবে না", কড়া বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করা যাবে না। সোমবার স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সব জেলার পুলিশকর্তাদের তিনি  রক্তদান শিবির আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছেন। (ফাইল)

কলকাতা:

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করা যাবে না। সোমবার স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেউ অভিযুক্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এমন সতর্কবার্তা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর (Bengal CM) গলাতে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের ((West Bengal)  ২২টি জেলায় ২২টি করোনা হাসপাতাল খুলতে উদ্যোগ নিয়েছে নবান্ন। সোমবার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতি জেলার একটা হাসপাতাল বাছাই করে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এদিন তিনি একগুচ্ছ ঘোষণা করেছেন। যে ঘোষণার মধ্যে অন্যতম, মিষ্টির দোকান খোলার প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, "মিষ্টি ব্যবসায়ী ও দুগ্ধ উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাঁদের রেহাই দিতে এই সিদ্ধান্ত। লকডাউন চলাকালীন প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খুলে রাখা যাবে মিষ্টির দোকান।" পাশাপাশি সব জেলার পুলিশকর্তাদের তিনি  রক্তদান শিবির আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

লকডাউনে কলকাতায় অপরাধ কমেছে পঞ্চাশ শতাংশ, দাবি যুগ্ম কমিশনারের

এদিকে, রাজ্যের ২২টি জেলায় অন্তত একটা করে আইসোলেশন কেন্দ্র খোলা হচ্ছে  (District-wise Isolation Centre)। সোমবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জানা গিয়েছে, প্রতি জেলার কোনও একটা হাসপাতালকে চিহ্নিত করে সেটাকে আইসোলেশন কেন্দ্রে রুপান্তরিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মর্মে নির্দেশ গিয়েছে জেলা শাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। কোনটা হাসপাতলাকে রূপান্তরিত  করা সম্ভব, তা অবিলম্বে জানাতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, শয্যাসংখ্যা, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং কতজন চিকিৎসক-নার্স কর্মী দরকার,? এ সব উল্লেখ করে রিপোর্ট পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনকে। স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, "সরকার আগাম সর্তকতা হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।" এদিকে রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। মৃত ২। সোমবার ভরে উত্তরবঙ্গে এক করোনা আক্রান্ত মহিলার মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে আশার খবর, মোট ৩ জন সংক্রমিত দ্রুত সেরে উঠছেন।   

করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেই কলকাতার ভবানীপুরের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন

রাজ্যের বহু মুখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস অতিমারীর মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াতে চাইছে। আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে তারা। ২৭ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের কাছে তহবিলে অনুদান দেওয়ার জন্য আর্জি জানান। তিনি সমস্ত প্রতিষ্ঠান তো বটেই, ব্যক্তিগত ভাবেও অনুদানের অনুরোধ করেন। এরপরই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে রাজ্য সরকারের তহবিলে অনুদান দেওয়ার কথা জানানো হয়। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.