This Article is From Nov 21, 2019

মুসলিম অধ্যাপক নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই খুলল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ

পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরার অনুরোধ করা সত্ত্বেও পড়ুয়ারা রাজি হয়নি। পাশাপাশি তারা জানিয়ে দিয়েছে, তারা ক্ষোভ প্রদর্শন অব্যাহত রাখবে।

মুসলিম অধ্যাপক নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যেই খুলল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ

এদিন দুপুর সাড়ে তিনটেতে খুলে যায় ওই বিভাগ।

বেনারস:

বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতের অধ্যাপক হিসেবে এক মুসলিমকে নিয়োগ করা নিয়ে  পড়ুয়াদের বিক্ষোভের পরে আবারও খুলল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংস্কৃতি বিদ্যা ধর্ম' বিভাগ। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটেতে খুলে যায় ওই বিভাগ। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপকরা। পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরার অনুরোধ করা সত্ত্বেও পড়ুয়ারা রাজি হয়নি। পাশাপাশি তারা জানিয়ে দিয়েছে, তারা ক্ষোভ প্রদর্শন অব্যাহত রাখবে। গত ১৪ দিন ধরে মুসলিম অধ্যাপক ফিরোজ খানের নিয়োগের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। তাদের দাবি, অ-হিন্দু কেউ এমন বিষয়ে পড়াতে পারবেন না। তবে এরই পাশাপাশি অধ্যাপকের পাশে দাঁড়িয়েছে অন্য পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দেখা গিয়েছে ব্যানার, তাতে লেখা ‘আমরা আপনার সঙ্গে আছি ড. ফিরোজ খান'।

এক অধ্যাপক চন্দ্রমৌলি উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘আমরা আশা করতে পারি ওই বিভাগ আবার খুলবে। বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা জানিয়েছে বিভাগ খুললে তাদের কোনও আপত্তি নেই।''

আর এক অধ্যাপক ভগৎ স্বরূপ জানিয়েছেন, ‘‘আমি মনে করি না এখানকার ঐতিহ্যকে অনুসরণ করতে ওঁর কোনও সমস্যা হবে।'' তিনি এও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন পদ্ধতিতে কোনও গলদ রয়েছে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন না।

cflisqs

গত ৫ নভেম্বর অধ্যাপক হিসেবে ফিরোজ খানের নাম ঘোষিত হয়। কিন্তু বিক্ষোভ শুরু হয়ে যাওয়ায় তিনি পড়াতে পারেননি। দাবি ওঠে, উনি যেহেতু হিন্দু নন, তাই উনি ওই বিষয়টি পড়াতে পারবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা অধ্যাপকের পাশেই রয়েছে এবং তাঁকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ প্রোক্টর ওপি রাই জানিয়েছেন, ‘‘আমরা নিয়মিত পড়ুয়াদের সংস্পর্শে থাকছি। এবং আমরা আশা করি বিষয়টা ঠিক হয়ে যাবে... দেখুন, ধর্মীয় অনুভূতি কখনও কখন অন্যকি বাঁক নেয়। কিন্তু যাই হয়ে থাকুক না কেন, এই নিয়োগ ইউজিসির গাইডলাইন মেনেই প্রয়োগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। ভবিষ্যতেই করবে। এনিয়ে কোনও সংশয় নেই। বিশ্ববিদালয় কোনও ভুল করেনি।''

যাঁরা ফিরোজকে নিয়োগ করেছেন, তাঁদের সকলেই একবাক্যে জানিয়েছেন, তিনিই সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী ছিলেন।

পড়ুয়াদের এই বিরোধিতার প্রতিবাদ করেছেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির মুখ্য মায়াবতী। তি নি বিষয়টিতে সরকারের নজরদারির দাবি জানান।

.