This Article is From Nov 13, 2019

"মসজিদের জন্য ৫ একর জমি অবশ্যই ..." কী দাবি করলেন মুসলিম নেতারা?

Ayodhya Verdict: "আদালত বা সরকার আমাদের আবেগ বুঝে অধিগৃহীত জমি থেকেই পাঁচ একর জমি দিক,কারণ অনেক মুসলিম ধর্মগুরুর কবরস্থান ও দরগা রয়েছে", দাবি তাঁদের

Ayodhya Verdict: ১৯৯১ সালে বিতর্কিত স্থানটি সহ গোটা জমি অধিগ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার (ফাইল চিত্র)

অযোধ্যা:

রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ (Masjid) বিরোধ মিটেও যেন মিটতে চাইছে না। এবার নতুন এক দাবি তুললেন কিছু মুসলিম নেতা। সুপ্রিম কোর্ট রায় (Ayodhya Verdict) দিয়েছে যে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি দিতে হবে তাঁদের। সেই রায়ের (Ayodhya Case Verdict)পরিপ্রেক্ষিতেই অযোধ্যা মামলার মুসলিম পক্ষের প্রধান আইনজীবী ইকবাল আনসারি এবং আরও কয়েকজন স্থানীয় মুসলিম নেতা দাবি করেছেন যে অযোধ্যায় অধিগ্রহণ করা ৬৭ একর জমির মধ্যেই মসজিদ নির্মাণের জন্যে জমি বরাদ্দ করতে হবে। ১৯৯১ সালে অযোধ্যার রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ সংলগ্ন বিতর্কিত স্থানটি সহ গোটা জমি অধিগ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। "ওঁরা যদি আমাদের জমি দিতেই চান তবে ওঁদের অবশ্যই আমাদের সুবিধার কথাও মাথায় রাখা উচিত। আমরা চাই অধিগ্রহণ করা ৬৭ একর জমির মধ্যেই আমাদের জমি দেওয়া হোক। তবেই আমরা তা নেব। নইলে আমরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করব। অনেকেই বলছেন, 'এই জায়গায় পুরো বাইরে চলে যান। সেখানে গিয়ে মসজিদ নির্মাণ করুন' । এটি ন্যায্য কথা নয়", বলেন আইনজীবী আনসারি।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই ইকবাল আনসারি বলেন যে তিনি এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্যে আবেদন করবেন না।

স্থানীয় মুসলিম ধর্মগুরু মওলানা জালাল আশরাফ বলেন, মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসললিমরা নিজেরাই জমি কিনতে পারে এর জন্য তাঁরা সরকারের উপর নির্ভরশীল নয়।

২৬ নভেম্বর অযোধ্যার জমি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড

তিনি বলেন, "আদালত বা সরকার যদি আমাদের অনুভূতি কিছুটা হলেও বুঝতে চায় তবে অধিকৃত জমির মধ্যে থেকেই পাঁচ একর জমি দিক আমাদের, কারণ সুফি সাধক কাজী কুদওয়াহ সহ অনেক মুসলিম গুরুরই এই জায়গাতে কবরস্থান ও দরগা রয়েছে" । 

একই মত প্রকাশ করেন অল ইন্ডিয়া মিলি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক খালিক আহমেদ খানও।

মুসলিম পক্ষের একজন মামলাকারী হাজি মেহবুব বলেন, "আমরা এই প্রলোভনটি গ্রহণ করব না। ওঁদের অবশ্যই পরিষ্কার করে জানাতে হবে যে ওঁরা আমাদের কোথায় জমি দিচ্ছেন।"

অযোধ্যা পুর কর্পোরেশনের হাজি আসাদ আহমেদ সাফ বলেন, বাবরি মসজিদের বদলে মুসলিম সম্প্রদায় কোনও অন্য জমি চায় না। তিনি বলেন, "আদালত বা সরকার যদি মসজিদের জন্য জমি দিতে চায় তবে তাদের অবশ্যই অধিগ্রহণ করা ৬৭ একর জমির মধ্যে থেকেই আমাদের দিতে হবে, আর তা হলে আমাদের ওই অনুদান চাই না"।

মসজিদ নয় দাতব্য হাসপাতাল হোক অযোধ্যার ৫ একরে: পরামর্শ জাভেদ আখতারের

গত শনিবারই অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই রায়ে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামমন্দির নির্মাণের জন্যে দেওয়ার কথা বলে হলেও মসজিদ নির্মাণের জন্যে ৫ একর জমি দেওয়ার বিধান দেয় শীর্ষ আদালত। উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের সভাপতি জাফর ফারুকী জানান যে জমি নেওয়া হবে কিনা সে সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত পাচ্ছেন তিনি। ফারুকী বলেন, "২৬ নভেম্বর বোর্ডের সাধারণ সভার বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে পাঁচ একর জমি নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে"। কিন্তু তারই মধ্যে এই নয়া দাবি তুললেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন ব্যক্তি।

.