কলকাতা: অযোধ্যার মামলার ঐতিহাসিক রায় নিয়ে যখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি, তখন কেন মুখে কুলুপ তৃণমূল নেতাদের? পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ শনিবার এমনই প্রশ্ন তুলেছেন। রামমন্দির নির্মাণ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলার শাসকদল জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে নীরব থাকতেই পছন্দ করে। অযোধ্যার বিতর্কিত জমির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রশংসা করে এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক' বলে বর্ণনা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, বিজেপি এবং গেরুয়া শিবির দীর্ঘদিন ধরে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে এবং “মন্দিরের নির্মাণ একবার হয়ে গেলে অবশ্যই রাজনৈতিক সুবিধাও হবে।” বিজেপি এই ইস্যুতে কোনও রাজনৈতিক লভ্যাংশ পাবে কি না সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, গেরুয়া শিবির দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তবে কোনও রাজনৈতিক লাভের জন্যে নয়। “তবে এতে যদি কোনও লাভ যদি হয়ে থাকে তবে তাতে অবশ্যই আমাদের উপকার হবে,” বলেন দিলীপ ঘোষ।
Ayodhya Verdict: ১৫২৮ থেকে আজ পর্যন্ত জেনে নিন অযোধ্যার ইতিহাস
“আমি শীর্ষ আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এই ঐতিহাসিক রায়ের জন্য। আমাদের সবার উচিৎ আদালতের রায়কে শ্রদ্ধা করা। আমরা আশাবাদী যে মন্দিরটি শীঘ্রই নির্মিত হবে। শত শত কর সেবক, যারা এই রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সময় নিজেদের জীবন হারিয়েছেন, তাঁদের আত্মা এবার শান্তি পাবে,” কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন দিলীপ।
অযোধ্যা জমি সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়ে শীর্ষ আদালতের রায় বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের নীরবতা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ বলেন, “যখনই জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তৃণমূল নেতৃত্ব হয় নীরব থাকে বা এমন কোনও পদক্ষেপ করে যা পুরোপুরিভাবেই জাতির স্বার্থ ও সমাজের পরিপন্থী। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে। আমি চাই তৃণমূল স্পষ্ট জানাক, তারা এটা সমর্থন করে নাকি বিরোধিতাই করে, সাফ জানাক ওরা। আমি নিশ্চিত, ওরা আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না।”
মসজিদের জন্য অযোধ্যার “ভাল” জায়গায় ৫ একর জমি, রায় সুপ্রিম কোর্টের
শনিবার সারা দেশের চোখ ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক এই রায়ের দিকেই। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের সংবিধান বেঞ্চ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে শনিবার এক শতাব্দীরও বেশি প্রাচীন এই বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে। আদালত তার সর্বসম্মত রায়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, অযোধ্যার বিতর্কিত ওই স্থানে রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে এবং মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে।
মসজিদটি একটি ‘উপযুক্ত' স্থানে তৈরি করতে হবে। যার জন্য হয় কেন্দ্র বা উত্তরপ্রদেশ সরকার জমি বরাদ্দ করবে। এবং একটি ট্রাস্ট তিন মাসের মধ্যে গঠন করতে হবে যারা রামের জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করা ওই স্থানে হিন্দুদের মন্দির নির্মাণের বিষয়টি তদারকি করবে, জানিয়েছে আদালত।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)