This Article is From Dec 29, 2019

বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে দলীয় সমর্থকদের উস্কাচ্ছেন বিধায়ক, অভিযোগ অসমবাসীর

অসমে নাগরিক আইনের প্রতিবাদকারীদের স্তব্ধ করতে দলীয় সমর্থকদের উস্কাচ্ছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক Mrinal Saikia। এমনটাই অভিযোগ একদল স্থানীয় বাসিন্দার।

বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে দলীয় সমর্থকদের উস্কাচ্ছেন বিধায়ক, অভিযোগ অসমবাসীর

প্রতিবাদে উত্তাল গুয়াহাটি

গুয়াহাটি:

অসমে নাগরিক আইনের প্রতিবাদকারীদের স্তব্ধ করতে দলীয় সমর্থকদের উস্কাচ্ছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক Mrinal Saikia। এমনটাই অভিযোগ একদল স্থানীয় বাসিন্দার। Khumtia কেন্দ্রের ওই বিধায়কের ভাষণ বিরুদ্ধে ভিডিও আকারে ছড়িয়ে পড়তেই অভিযোগের আঙুল ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ভিডিওয় শোনা গেছে তিনি দলীয় সমর্থকদের প্রতিবাদকারীদের থামাতে কড়া পদক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছেন। এরপরেই এলাকাবাসী অভিযোগ দায়ের করেন নওগাঁও প্রশাসনের কাছে।

"২০১৪ থেকেই প্রস্তুতি চলছিল...": নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে হিমন্ত বিশ্বশর্মা

অভিযোগ, ছাবুয়ার জনসভায় মৃণাল নাকি দলীয় সমর্থকদের সরাসরি অনুমতি দেন, আন্দোলনকারীদের সমুচিত জবাব দেওয়ার। তিনি বলেন, "আমাদের সমর্থকেরা অনেকদিন মুখ বুঁজে সহ্য করেছেন। কেউ যদি আপনার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তাহলে পাল্টা তার বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেবেন। কেউ আপনাদের ছুঁতে চেষ্টা করলে কমপক্ষে ১০ জন আন্দোলনকারীকে ধরাশায়ী করবেন। মনে রাখবেন, আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মাত্র ১০ জন মানুষ জনপ্রতিনিধ হতে পারে না।" প্রসঙ্গত, আন্দোলনের সময়ে বিজেপি বিধায়ক বিনোদ হাজারিকার বাড়ি প্রতিবাদকারীরা পুড়িয়ে দিয়েছিল। এদিকে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তদন্ত হবে।

অন্যদিকে, এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে সরব হয়েছেন অসম কংগ্রেস। বিরোধী দলীয় নেতা দেবব্রত সইকিয়া NDTV-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সর্বানন্দ সোনোয়ালের উচিত অতি দ্রুত মৃণাল সইকিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা। তিনিই বলেছিলেন, যাঁরা হিংসা ছড়াতে উস্কানি দেবেন তাঁদের তিনি কঠোরতম শাস্তি দেবেন। ভিডিওতে একথা স্পষ্ট, মৃণাল প্রকাশ্যে হিংসা ছড়াতে মদত দিচ্ছেন সমর্থকদের। তাঁর আরও দাবি, মৃণাল চুপিসারে এই ন্যক্কারজনক কাজ সারতে চাইলেও তা প্রকাশ্যে আসে গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। 

রাহুল গান্ধি অনুপ্রবেশকারীদের ভালবাসলে তাদের ইতালিতে নিয়ে যান: গিরিরাজ সিংহ

প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইন পাস হতেই প্রতিবাদে ফেটে পড়ে গোটা দেশ। যদিও শাসক দলের দাবি, ২০১৫-য় তিনটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ থেকে ধর্মীয় অত্যাচারে যেসমস্ত হিন্দু এদেশে পালিয়ে এসেছেন তাঁদের জন্য চালু হবে এই বিল। অন্যদিকে, বিরোধী রাজনৈতিক দল জনতার যুক্তি, এতে পুনরায় ধর্মের জিগির তুলে ভেদ টানার চেষ্টা হচ্ছে হিন্দু-মুসলমানের বিরুদ্ধে।  

.