আরএসএসের আমন্ত্রণ গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে প্রণব মুখার্জী একটি সংকেত পাঠিয়েছেন, কিন্তু স্পষ্ট করে কিছু লেখেননি
হাইলাইটস
- প্রণব মুখার্জী একটি সংকেত পাঠিয়েছেন, কিন্তু স্পষ্ট করে কিছু লেখেননি
- তিনি আগামী মাসে একটি আরএসএস ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন
- আরএসএস-এর প্রধান ভাগবত শত শত কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন
নিউ দিল্লী:
ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীকে আগামী মাসে আরএসএস-এর এক অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসাবে আপ্যায়ন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে, যদিও এই বিষয়ে এখনও লিখিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।গত পাঁচ দশক ধরে প্রণব মুখাৰ্জী কংগ্রেসের সাথে যুক্ত। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের বহু নেতা দল ত্যাগ করলেও তিনি সর্বদা পার্টীর সাথে পা মিলিয়ে চলেছেন।
এনডিটিভি এই বিষয়ে বহু রাজনীতিবিদদের সাথে কথা বলেছে, যারা নিশ্চিত করেছেন যে, 82 বছর বয়সী অ-কংগ্রেস, অ-বিজেপি নেতারা একসঙ্গে 2019 সালের আগে একটি বিকল্প মঞ্চ তৈরি করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিছু নেতা 2019 সালে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পদচিহ্নের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন।প্রণব মুখাৰ্জীর দিল্লীর অফিসিয়াল বাংলোতে, তাঁরা একটিতে হয়ে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
গত জানুয়ারি মাসে ভুবনেশ্বরের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়, তা হয়েছিল উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বাড়িতে, বিজু জনতা দল (বিজেডি) -এর প্রধান।তাঁর পিতা বিজু পট্টনায়েকের জীবনী শুরু করার জন্য নেতা পট্টনায়ক আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।অন্যদিকে সোনিয়া গান্ধী বা এনসিপির নেতা শারদ পাওয়ার সম্প্রতি একটি নৈশ্যভোজের আয়োজন করেছিলেন।প্রণব মুখোপাধ্যায়, জনতা দল সেকুলারের দেব গৌড়া, বাম নেতা সিদ্ধারম ইয়েচুরি এবং বিজেপি প্রবীণ লালকৃষ্ণ আদবানি শুভেচ্ছা বার্তা পেশ করেছেন টুইটের মাধ্যমে।
মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, ''তাঁদের সান্নিধ্য লাভ আমার কাছে খুবই আনন্দজনক।'' সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে যে, এটাকে থার্ড ফ্রন্ট গড়ে তোলার একটা প্রথম পদক্ষেপ বলে ধরা যেতে পারে।
অনেকেই বলছে যে, এই 'থার্ড ফ্রন্ট' গড়ে তোলার বিষয়ে গত বছরই পট্টনায়কের সাথে প্রণব মুখার্জীর আলোচনা হয়ে গেছে রাষ্ট্রপতি ভবনে।কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূল এবং বিজেডি-র মুখ্য ব্যক্তিত্বরা একত্রিত হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁরা কেউই এই বিষয়ে কোনো রকম মুখ খোলেন নি। 2004 -এ প্রণব মুখাৰ্জী তাঁর পুস্তকে জানিয়েছেন যে, তিনি আশা করেছিলেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট তাঁকেই মনোনীত করবেন, কিন্তু তিনি মনমোহন সিংকে মনোনীত করেন ও তাঁকে নিযুক্ত করেন রাষ্ট্রপতির পদে।
2012 সালে যথন প্রথম তাঁর নাম মনোনীত হয়েছিল, তখন তৃণমূলনেত্রী বিরোধিতা করেছিলেন।শিবসেনা তাঁর পক্ষ অবলম্বন করেছিল।বর্তমানে তৃনমূল নেত্রী ও টিআরএসের কে চন্দ্রশেখর রাও-এর পাশে এই প্রবীণ নেতা আছেন বলে জানা যাচ্ছে। একটি থার্ড ফ্রন্ট গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে বলেই মনে করা হচ্ছে।তবে এনডিটিভি বহু চেষ্টা করা সত্ত্বেও কোনো রকম অফিসিয়াল রেকর্ড সংগ্ৰহ করতে পারেনি।