This Article is From Apr 01, 2020

"করোনা যোদ্ধাদের জন্য এক কোটি টাকার ভাতা", ঘোষণা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

যারা করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই এমনটাই জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

বুধবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

নয়া দিল্লি:

যারা করোনা সংক্রমণের (Coronavirus) বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তারাও যোদ্ধা। দেশের শত্রুর সঙ্গে তাঁরাও মোকাবিলা করছেন। বুধবার এমনটাই জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাই সেই 'যোদ্ধাদের' সুরাহা দিতে এবার এক কোটি টাকার সাম্মানিক ভাতা ঘোষণা করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। কোনও স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মীর করোনা সংক্রমণে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে, পরিবারপিছু এই টাকা দেওয়া হবে। এদিন জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দুপুরে রাজ্যের করোনা পর্যালোচনায় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী (Delhi CM) অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, "যুদ্ধের সময় একজন সৈনিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশকে রক্ষা করেন। তাঁদের কাছে গোটা দেশ ঋণী। এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে, আপনারা, স্বাস্থ্যকর্মী আর সাফাইকর্মীরা একজন সৈনিকের মতোই কাজ করছেন। দেশের মানুষকে বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন।"

তিনি আরও বলেছেন, "আমি আগে বলেছিলাম দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে কোনও সৈনিক প্রাণ হারালে, তাঁদের পরিবারকে এক কোটি টাকা সাম্মানিক ভাতা দেব। এবার আমি ঘোষণা করছি, সাফাই কর্মী কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীরা এই বিপর্যয়ের সময় দুর্ভাগ্যক্রমে কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে, সেই শহিদ পরিবারকেও এক কোটি টাকা সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হবে।" সরকারি কিংবা বেসরকারি, যে কোনও সংস্থার সাফাইকর্মী কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ভাতার আওতায় পড়বেন, বুধবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। 

দেশে অমিল করোনা সুরক্ষা কিট, এর মধ্যে সার্বিয়াকে চিকিৎসা সামগ্রী রফতানি ভারতের!

গত সপ্তাহেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকা একদম সামনের সারির এই চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ৫০ কোটি টাকার মেডিক্যাল বিমার ঘোষণা করেছে অর্থ মন্ত্রক। এদিকে, দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদ সংলগ্ন প্রায় পুরো এলাকাটাই করোনা সংক্রমিত, কেননা ওই মসজিদের সমাবেশে যোগদানকারীদের মধ্যে কমপক্ষে ১২৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এরপরেই সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে ওই অঞ্চলের কাছে থাকা একটি বহুতল থেকে প্রায় ২,১০০ জন মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

লকডাউনের মধ্যেও স্বস্তি মধ্যবিত্তের, মেট্রো শহরগুলোতে কমল ভর্তুকিহীন গ্যাসের দাম

১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত আয়োজিত ওই ধর্মীয় সমাবেশে যোগদান করার পর করোনা আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবারই মার্কাজ নিজামুদ্দিন সিল করে দেওয়া হয়, এবং সেখানে থাকা অসংখ্য মানুষকে বের করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়। মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যে সমস্ত রাজ্যের মানুষ ওই জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত যাঁদের সন্ধান মিলেছে তাঁদের মধ্যে আক্রান্ত ১২৮ জন। এদিকে এক বিবৃতিতে দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের "মার্কাজ" কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থন করে জানিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি ২২ মার্চ "জনতা কারফিউ" ঘোষণা করার পরে এই অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ওই মসজিদ চত্বরে প্রচুর মানুষের জমায়েত ছিল। তাঁরা ওই কারফিউয়ের কারণে আটকা পড়ে। তাঁদের আর অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। আর এরপরেই শুরু হয়ে যায় দেশ জুড়ে লকডাউন। 

.