This Article is From Jul 01, 2018

জিএসটির ফলে প্রত্যাক্ষ কর আদায় বেড়েছে 18 শতাংশ, বললেন জেটলি

একই সঙ্গে আগাম কর দানের হারও বেড়েছে বলে তাঁর মত। গত কয়েক বছরের তুলনায় তা বেড়ে হয়েছে 44 শতাংশ।  

জিএসটির ফলে প্রত্যাক্ষ কর আদায় বেড়েছে 18 শতাংশ, বললেন জেটলি

শুধু অর্থমন্ত্রী নন খোদ প্রধানমন্ত্রীও টুইট বার্তায় জিএসটির সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন

নিউ দিল্লি:

বর্ষপূর্তিতে  গুডস আন্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটির হয়ে জোরালো সওয়াল করলেন  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর মতে এই  ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর গত এক বছরে প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বেড়েছে 18 শতাংশ। শুধু তাই নয় তিনি আরও জানান এনডিএ-র চার বছরের আমলে কর আদায় বেড়েছে  1.5 শতাংশ।

 

এই খবর জানিয়ে  তিনি টুইট লেখেন , ' জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে বেশি করে  কর আদায় হচ্ছে। আর তার ফলে সরকারের কাজকর্মের পরিধিও   বাড়ছে  উল্লেখযোগ্য ভাবে। ' একই সঙ্গে আগাম কর দানের হারও বেড়েছে বলে তাঁর মত। গত কয়েক বছরের তুলনায় তা বেড়ে হয়েছে 44 শতাংশ।        


আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর টুইট

 

 

ঠিক এক বছর আগে এদিনেই চালু হয় জিএসটি। 'এক দেশ এক কর'  এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কর ব্যবস্থায় সরলীকরণের পরিকল্পনা নেয় এনডিএ সরকার। যদিও এব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে।  শেষমেশ গত বছর 30 জুন মধ্যরাতে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েদেন শুরু হল জিএসটি যুগ। তারই এক বছর হল আজ। এটির প্রশংসার পাশাপাশি জেটলি বলেন আগামী দিনে আরও অনেক কিছুই আসবে জিএসটির আওতায়।

 

শুধু অর্থমন্ত্রী নন খোদ প্রধানমন্ত্রীও টুইট বার্তায় জিএসটির সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন।  তিনি লিখেছেন, ' দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। জিএসটি কেন্দ্র- রাজ্য  সমন্বয়ের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। জিএসটির মাধ্যমে 'টিম ইন্ডিয়া'র মতো এক হয়ে কাজ করার মানসিকতা তৈরি হয়েছে। এর ফলে ব্যবসা করা, আগের থেকে অনেক সহজ হয়েছে। সরল হয়েছে কর ব্যবস্থা। এসেছে স্বছতাও। '  

 

জিএসটির সাফল্য  বর্ণনার পাশাপাশি এদিন টুইটারে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সরাসরি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধিকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ' উনি এক ধাপ বিশিষ্ট জিএসটির কথা বলছেন। যে সব দেশে মানুষের রোজগার একরকম সেখানে এই ব্যবস্থা চলতে পারে,  কিন্ত ভারতের ক্ষেত্রে এটি অসম্ভব।' তাছাড়া পেট্রল ডিজেলের মতি সামগ্রীকে জিএসটির অন্তর্ভুক্ত না করার জন্যও কংগ্রেসের সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর কথায় 'ইউপিএ পেট্রল জিজেলকে জিএসটির বাইরে রেখেছিল কিন্ত আমরা অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছি।  সাম্প্রতিক সময়ে পেট্রল বা ডিজেলের দাম বাড়ার পর এ ধরেনর সামগ্রীকে জিএসটির আওতায় আনার দাবি ওঠে।

.