নয়াদিল্লি: দিল্লিতে গতমাসে হিংসা (Delhi Violence) নিয়ে গ্রেফতার হওয়া নিয়ে খতিয়ান দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । এদিন রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) দিল্লি হিংসা নিয়ে জবাবে তিনি বলেন, “যারা লুকিয়ে রয়েছে, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে, পাতালের গভীর থেকে তাদের খুঁঝে বের করা হবে”। দোষীদের খুঁজে বের করতে ৪০টিরও বেশি দল গঠন করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষকে আস্বস্ত করতে চাই যে, যারা হিংসার চক্রান্ত করেছে, ধর্ম ও দলীয় ঊর্দ্ধে তাদের রেয়াত করা হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, “বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে এবং গভীর গুরুত্ব দিয়ে আমরা বিষয়টিকে বিবেচনা করব”।
অমিত শাহ বলেন, তিনি এই হিংসা চক্রান্ত এবং দেশ, বিদেশ থেকে এর জন্য অর্থ জোগানো হয়েছে।
এনপিআরের জন্য কোনও নথি লাগবে না, কেউই সন্দেহের তালিকায় নন: অমিত শাহ
তিনি বলেন, দিল্লির উপরাজ্যপালকে এর তদন্তে একজন বিচারককে নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। তাঁর কথায়, “মানুষের বিশ্বা করা উচিত যে, দ্রুত তদন্তের জন্য সবকিছুই করছে মোদি সরকার”।
উত্তর পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের পক্ষে ও বিপক্ষে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে, হিংসা ছড়িয়ে পড়ে, সেই সংঘর্ষে ৫০ জন লোকের মৃত্যু হয় এবং আহতের সংখ্যা ২০০ এর বেশি।
সংসদে দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস, তাদের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ পাচ্ছিল পুলিশ।
দিল্লি হিংসা স্থায়ী হয়েছিল ৩৬ ঘন্টা, শান্তি ফেরানোয় পুলিশকে ধন্যবাদ: অমিত শাহ
কংগ্রেসের নাম না করে, অমিত শাহ বলেন, “মানুষের উচিত, আমি, আমার দল বা আদর্শের দিকে লোকদের আঙুল তোলা উচিত নয়, কারণ, ৭৬ শতাংশ সংঘর্ষ হয়েছে কংগ্রেস জমানায়”।
তিনি বলেন, ১৯৬৭, ১৯৬৯, ১৯৭০, ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮৩, ১৮৮৫ সালে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল না, তখন সংঘর্ষ হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, “দিল্লিতে আমরা ১৯৮৯ সালে ক্ষমতায় ছিলাম না, ১৯৯০ সালে হায়দরাবাদে ছিলাম না, ১৯৯০ সালে আলিগড়ে ছিলাম না, ৯২ সালে কানপুরে ছিলাম না, ভোপালে ৯২ সালে ছিলাম না, মুম্বইয়ে ৯৩ সালে ক্ষমতায় ছিলাম না। শুধুমাত্র গুজরাটে সংঘর্ষের সময় ক্ষমতায় ছিলাম...সংঘর্ষে মৃত্যুর ৭৬ শতাংশ হয়েছে কংগ্রেস জমানায়”।