This Article is From Dec 09, 2019

অমিত শাহ: কংগ্রেস ধর্মের প্রয়োজনে দেশভাগ না করলে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের দরকার পড়ত না

বিরোধীদের দাবি ছিল, এই বিল সংবিধানে বর্ণিত সাম্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে অসঙ্গত। তখনই কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে এই কথা বলেনস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Citizenship (Amendment) Bill: লোকসভায় বক্তব্য রাখছেন অমিত শাহ।

নয়াদিল্লি:

কংগ্রেস দেশভাগ করেছিল ধর্মের ভিত্তিতে। এদিন নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (Citizenship (Amendment) Bill) নিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে একথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিরোধীদের দাবি ছিল, এই বিল সংবিধানে বর্ণিত সাম্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে অসঙ্গত। তখনই কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস ধর্মের প্রয়োজনে দেশভাগ না করলে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের দরকার পড়ত না। কংগ্রেসই ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছিল, আমরা নই।'' সোমবার লোকসভায় এই বিল পেশ করার পর কংগ্রেস সাংসদরা আপত্তি জানায়, এই বিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে। অমিত শাহ জোর দিয়ে বলেন, এই বিল ‘‘এমনকী ০.০০১ শতাংশ'' ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়।

তিনি দাবি করেন, প্রস্তাবিত আইন সংবিধানের কোনও অনুচ্ছেদের বিরোধী নয় এবং এতে একটি ‘‘যুক্তিযুক্ত বিভাজন'' রয়েছে।

শাসক-বিরোধী হট্টগোলের মধ্যেই সংসদে পেশ নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিল: ১০ টি তথ্য

সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা কোনও বাধা নয়, একথা জানিয়ে বলেন, ‘‘যুক্তিযুক্ত বিভাজন রয়েছে। আমি বিশ্বের সমস্ত আইন আলোচনা করে বলতে পারি যেখানে সাম্যের কথা বলা হয়েছে। যদি এভাবেই আমরা সাম্যের কথা বলতে চাই, তাহলে কেন তা আমরা যাদের সংখ্যালঘু বলি তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না? দয়া করে বলুন, সংখ্যালঘুরা কেন বিশেষ সংরক্ষণ পায় শিক্ষার মতো বিষয়ে?''

প্রসঙ্গত, সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা আইন ও আইনের রক্ষায় সমতার কথা বলে।

কর্ণাটকের উপনির্বাচনে গেরুয়া ঝড়, কমেছে হাতের শক্তি: ১০ তথ্য

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল সংশোধন করতে চাইছে ছ'দশকের পুরনো এক আইনকে। উদ্দেশ্য পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত অ-মুসলিম ‌শরণার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া।

কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর এর আগে বলেছিলেন, ‘‘যারা মনে করে ধর্ম রাষ্ট্রকে নির্ধারিত করতে পারে, সেটা পাকিস্তানের আইডিয়া।'' তিনি আরও জানান, মাত্র ছ'টি ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাগরিকত্বের কথা বলে অন্যান্য ধর্মের মানুষদের বাদ দেওয়ার অর্থ ধর্মীয় বিভাজন করা।

১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা রয়েছে, এদেশে গত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর বসবাস করলেই কেউ এদেশের নাগরিকত্ব দাবি করতে পারে। সংশোধনী বিলে এই সময়সীমাকে অ-মুসলিমদের জন্য পাঁচ বছর করতে চাওয়া হয়েছে।

এদিন অমিত শাহ আরও প্রশ্ন তোলেন, ‘‘১৯৭০ সালে ইন্দিরা গান্ধি একটি সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ থেকে আগতদের নাগরিকত্ব দেওয়ার। কেন পাকিস্তানের মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়নি?'' 

.