গত অগাস্ট থেকে গৃহবন্দি জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
নয়া দিল্লি: সম্প্রতি মুক্তি দেওয়া হবে মেহবুবা মুফতিকে (Mehbooba Mufti may be released soon)। বুধবার টুইট করে এমন ইঙ্গিত দিলেন মুফতি-কন্যা ইলতিজা মুফতি (Iltija Mufti)। ইতিমধ্যে সে রাজ্যের (Jammu and Kashmir) প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা ও তাঁর পুত্র ওমর আবদুল্লাকে মুক্তি দিয়েছে প্রশাসন। তারপর থেকেই 'গৃহবন্দি' অপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন পিতা-পুত্র। এবার বুধবার করা ইলতিজার টুইটে (Iltija tweeted) সত্যি হলে সেই দাবিকে মান্যতা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলে সূত্রের খবর। এদিন মায়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে মেহবুবা কন্যা টুইটে লেখেন, "মা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনতে পেয়েছেন তাঁকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া হবে। প্রশাসনিক এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে মা খুব কৃতজ্ঞ থাকবেন। কিন্তু এমন অনেক কাশ্মীরি যুবক আছেন, যারা রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন জেলে বন্দি। এই মহামারীর পরিস্থিতিতে তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে মা খুব উদ্বিগ্ন। তাই সেই সব যুবকদের মুক্তি দিতে মা আর্জি জানিয়েছেন।" অপর একটি টুইটে ইলতিজা লিখেছেন, মা বাড়ি থেকে ১০ মিনিট দূরে বন্দি। কিন্তু এমন অনেকে আছেন যারা পরিবার থেকে ১০০ মাইল দূরে!
করোনার মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মেনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠক
দেখুন সেই টুইট:
মঙ্গলবারই মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে। পিএসএ বা জন-নিরাপত্তা আইনে তিনি অভিযুক্ত ছিলেন। আবদুল্লার মুক্তির খবর চাউর হতেই মেহবুবা মুফতি টুইটে লিখেছিলেন, শুনে ভালো লাগলো ওমর আবদুল্লা মুক্তি পাচ্ছেন। কিন্তু ওদের (পড়ুন কেন্দ্র) মুখে নারী শক্তি ও স্বনির্ভরতার ভাষণে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নারীরাই। অর্থাৎ ঘুরিয়ে নিজের বন্দিদশাকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মেহবুবা মুফতি, দাবি বিশেষজ্ঞদের।
"মানুষের কি মাথা খারাপ হয়েছে": লকডাউনেও জটলা দেখে 'মাথা গরম' অক্ষয় কুমারের
এদিকে, মুক্ত হওয়ার পর থেকেই মেহবুবা মুফতির মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছিলেন ওমর। সে রাজ্যের প্রাক্তন ৩ মুখ্যমন্ত্রী বাদে, প্রায় শতাধিক রাজনৈতিক কর্মী গত ৫ অগাস্ট থেকে উপত্যকাতে হয় গৃহবন্দি নয় নজরবন্দি কিংবা জেলবন্দি। গত বছর ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের বিশেষ ৩৭০ ধার বিলোপ করে কেন্দ্র। সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই নিরাপত্তার স্বার্থে সতর্কতা অবলম্বনে 'বন্দি' করা হয় রাজনৈতিক কর্মীদের। সাসপেন্ড করা হয় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু বছর ঘুরতেই, চলতি বছরের শুরুতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে ভূস্বর্গ।