This Article is From Jan 08, 2019

অসহিষ্ণুতাকে একহাত নিলেন অমর্ত্য, বললেন, এবার বিজ্ঞানের নাম বদলে দিলেই হয়!

বৈষম্য এবং অবিচারের প্রতি ধৈর্য দেখিয়েই ভারতের এই অবস্থা। এখন অস্থিরতাই পুণ্য। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একান্ত  সাক্ষাৎকারে  এ কথাই জানিয়েছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

অসহিষ্ণুতাকে একহাত নিলেন অমর্ত্য, বললেন, এবার  বিজ্ঞানের নাম বদলে দিলেই হয়!

আগেই প্রবীণ অভিনেতা  নাসিরুদ্দিন শাহের পাশে দাঁড়িয়েছেন অমর্ত্য।

হাইলাইটস

  • বৈষম্য এবং অবিচারের প্রতি ধৈর্য দেখিয়েই ভারতের এই অবস্থা:অমর্ত্য
  • প্রবীণ অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের পাশে দাঁড়িয়েছেন অমর্ত্য
  • তাঁর দাবি তিনিও নাসিরুদ্দিনের মতো লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন
কলকাতা:

বৈষম্য এবং অবিচারের প্রতি ধৈর্য দেখিয়েই ভারতের এই অবস্থা। এখন অস্থিরতাই পুণ্য। এনডিটিভিকে দেওয়া একান্ত  সাক্ষাৎকারে  এ কথাই জানিয়েছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এমনিতেই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মাঝেমধ্যেই সরব হন তিনি। প্রশ্ন তোলেন মোদী সরকারের আর্থিক নীতি নিয়েও। এবার আবার সমালোচনার সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। আগেই প্রবীণ অভিনেতা  নাসিরুদ্দিন শাহের পাশে দাঁড়িয়েছেন অমর্ত্য। এই সাক্ষাৎকারেও সেই ব্যাপারটিকে আরও বড় আকারে তুলে  ধরলেন তিনি। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁর দাবি তিনিও নাসিরুদ্দিনের মতো লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন

 

স্ত্রী সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপমানজনক মন্তব্য, থানায় গিয়ে যুবককে মার জেলাশাসকের

অমর্ত্য সেনকে নিয়ে তৈরি ছবি ‘নালন্দা' মুক্তি পায়নি। সে প্রসঙ্গ তুলে  তাঁর দাবি  প্রতিটি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। সেটাকে বাধা দেওয়া উচিত নয়।  এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয় নালন্দা ছবিটি তো শিক্ষা বিষয়ক। তার  সঙ্গে ধর্মের যোগ কোথায়? উত্তরে তিনি বলেন,  নালন্দার সঙ্গে ধর্মের যোগ আছে। এটি ভারতের একটি বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তছাড়া এটির সঙ্গে বৌদ্ধ  ধর্মও জড়িত। যেভাবে নালন্দা পরিচালিত হওয়া উচিত সেভাবে হচ্ছে  না। ছাত্রের সংখ্যাও কমছে। আগে বছরে একশো জন পড়ুয়া আসতেন। এখন সেটা কুড়ির কাছাকাছি। অন্যদিকে সম্প্রতি  অন্ধ্র  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জি নাগেশ্বর রাও বলেছেন কৌরবরা ছিলেন নল জাতক সন্তান। এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে অমর্ত্য বলেন বিষয়টি বিজ্ঞান নয় অন্য কিছু। সেটির অন্য নাম হওয়া  উচিত। একই  সঙ্গে  তাঁর  মনে হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও বদলে  যাওয়া  উচিত। ওই বিশ্ববিদ্যালয় এখন  যেভাবে পরিচালিত হয় তা তার অতীত গরিমার সঙ্গে  সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই সেটিরও নাম বদলে  যাওয়াই শ্রেয়।                           

 

.