This Article is From May 28, 2019

লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে পারে বিজেপি

২০২১ সালের মধ্যে লোকসভার মতোই রাজ্যসভাতেও একাধিপত্য থাকবে বিজেপি এবং তার সঙ্গী দলগুলির।

লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার পথে  এগিয়ে যেতে পারে বিজেপি

২০২১  সালের মধ্যেই রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তি হয়ে যেতে পারে বিজেপি

হাইলাইটস

  • আগামী দু’বছরের মধ্যে রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারে বিজেপি
  • কোনও বিল পাস করানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সুবিধা পাবে মোদী সরকার
  • বিরোধীদের কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ করে জিতে এসেছে এনডিএ
নিউ দিল্লি:

আগামী দু'বছরের মধ্যে রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারে বিজেপি। এখন যা পরিস্থিতি তাতে ২০২১ সালের মধ্যে লোকসভার মতোই রাজ্যসভাতেও একাধিপত্য থাকবে বিজেপি এবং তার সঙ্গী দলগুলির। আর তা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে কোনও বিল পাস করানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সুবিধা পাবে মোদী সরকার। লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2019 ) ফলাফলে দেখা গিয়েছে এবারও কংগ্রেস সহ অন্য বিরোধীদের কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ করে জিতে এসেছে এনডিএ (National Democratic Alliance ) । ৩৫৩টি আসন রয়েছে তাদের। এর মধ্যে ৩০০টি-র বেশি একাই জিতেছে বিজেপি। এখন রাজ্যসভার ২৫০ জন সাংসদের মধ্যে ৯৯ জন এনডিএ-র।  এখানে সংখ্যাগোরিষ্ঠ হতে আরও ২৫ জন সাংসদের প্রয়োজন বিজেপির। বিরোধীদের হাতে আছে ৬৫ জন।

রাজ্য প্রশাসনে বড় রদবদল, স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়

পরের বছর রাজ্যসভায় ১০ টি আসন খালি হবে। উত্তর প্রদেশের থেকে সাংসদ পাঠানোর ক্ষেত্রে আবশ্যিক ভাবেই সুবিধা পাবে বিজেপি।একইভাবে বিজেপি শাসিত রাজ্য মহারাষ্ট্র হরিয়ানা এবং ঝাড়খন্ডেও এ বছরই বিধানসভা নির্বাচন হবে। তাতে ফল যদি আরও ভালো হয় তাহলে আরও বেশি করে সাংসদ রাজ্যসভায় পাঠানোর সুযোগ পাবে বিজেপি।

''আগেই বলেছিলাম ৩০০-র বেশি আসন পাব'': মোদী, বাড়ি গিয়ে মায়ের আশীর্বাদ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

মাত্র কয়েক মাস আগে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়। তাতে পরাজিত হয় বিজেপি। ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন হয়। তাতেও পরাজিত হয় বিজেপি। এই কারণে রাজ্যসভার সংসদ সংখ্যা কিছুটা কমে গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু এবার তা বাড়ার  দিকে যাচ্ছে।    

সহযোগী দল বিহারের জেডিইউ,  তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে এবং মহারাষ্ট্রের শিবসেনাকে নিয়ে ২০২১  সালের মধ্যেই রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তি হয়ে যেতে পারে বিজেপি। অতীতে দেখা গিয়েছে নবীন পট্টনায়কের বিজেডি, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস, জগমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস বহু ক্ষেত্রে সরকারের পাশে থেকেছে। সরাসরি এনডিএ-র শরিক না হলেও তাদের সাহায্য পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহরা। এবার বিজেপির ভালো ফল হওয়ায় তারা আরও বেশি করে পাশে থাকবে বলে আশা করছে দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।

সেটা যদি হয়ে যায় তাহলে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাস করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে বিজেপি। এই তালিকার একেবারে গোড়ায় রয়েছে তিন তালাক এবং নাগরিকত্বে মতো আইন।

বিজেপি যেখানে ক্রমশএগিয়ে যাচ্ছে সেখানে রাজ্যসভায় বড় ধাক্কা খেতে চলেছে কংগ্রেস। এ বারই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ।তিনি অসম থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার অসম থেকে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর মত শক্তি কংগ্রেসের নেই। একইভাবে তামিলনাড়ু বিহার এবং ওড়িশাতেও শক্তিশালী নয় কংগ্রেস। এমতাবস্থায় কীভাবে মনমোহনকে রাজ্যসভায় পাঠানো সম্ভব তা নিয়ে অঙ্ক কষা শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে।

.