This Article is From Mar 02, 2019

"অভিনন্দন দিবস", দেশের নতুন 'নায়ক'-কে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল টুইটার

পাকিস্তান থেকে শুক্রবার রাতে ফিরে এলেন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তারপরই তাঁর নামে হ্যাশট্যাগ দিয়ে শুরু হয় একের পর এক টুইট।

গত ২ দিন ধরে পাক হেফাজতে ছিলেন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান।

নিউ দিল্লি:

পাকিস্তান থেকে শুক্রবার রাতে ফিরে এলেন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তারপরই তাঁর নামে হ্যাশট্যাগ দিয়ে শুরু হয় একের পর এক টুইট। শুক্রবার রাত ন'টার পর তাঁকে ওয়াঘা সূমান্ত পার করিয়ে দিয়ে ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দেওয়া হল পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। ওয়াঘা সীমান্তে অভিনন্দনকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য জাতীয় পতাকা ও মালা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন অজস্র দেশবাসী। এক দেশনায়কের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা… গত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার ভারত ও পাকিস্তানি বায়ুসেনার মধ্যে আকাশপথে প্রবল সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই সময়ই পাকিস্তানি সেনার হাতে ধরা পড়েন তিনি। পাকিস্তানের অত্যাধুনিক এফ-১৬ বিমানকে ধ্বংস করেন তিনি। তারপর তিনি নিজে যে যুদ্ধবিমানটি চালাচ্ছিলেন, অর্থাৎ, মিগ-২১ বাইসন, সেটিও ভেঙে পড়ে।

“ফিরে আসতে পেরে ভাল লাগছে”,বললেন পাইলট অভিনন্দন বর্তমান

শত্রুপক্ষের ভূখণ্ডে তিনি প্যারাশুটে করে নেমে গিয়েছিলেন। নামার পরেই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের পিছু হঠানোর জন্য হাওয়ায় গুলি চালান। তারপর ঝাঁপ দেন কাছের একটি পুকুরে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা সমস্ত তথ্যপ্রমাণ খেয়ে ফেলে নষ্ট করে দেন। তিনি, ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। যে নামটি এখন এই একশো ত্রিশ কোটির প্রতিটি ঘরে নিজের মতো ঘুরপাক খাচ্ছে। বুধবার তাঁর বিমানটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় বায়ুসেনার এই পাইলট ঠিক এই কাজগুলো করেছিলেন বলেই জানিয়েছে সূত্র। আর, এ নিয়ে তর্কের উত্থাপনের সুযোগ থাকলেও, কথাটি নিশ্চিতভাবেই প্রায় বলা যায় যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমশ টেনশনের আগুন বেড়ে গিয়ে গত কয়েকদশকের মধ্যে খারাপতম যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তাঁর জন্যেই যেন মিটে গেল।

ছাড়ার আগে অভিনন্দন বর্তমানের ভিডিও করে রাখল পাকিস্তান

তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর একটি ভিডিও প্রকাশ করে পাকিস্তান সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিতে দেখা যায়, অভিনন্দন বর্তমানকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, যে বিমানটি তিনি চালাচ্ছিলেন, তা নিয়ে। তার জবাবে অভিনন্দনকে বলতে শোনা যায়- দুঃখিত মেজর, আমি এর উত্তর আপনাকে দিতে পারব না।

ঠিক এই জায়গা থেকেই তিনি অচিরেই যেন হয়ে ওঠেন সোশ্যাল মিডিয়ার নতুন ‘নায়ক'।

 

শুধু সাধারণ মানুষ নয়। রাজনৈতিক নেতারাও তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক বার্তা দিয়ে যান। যেগুলির প্রতিটিই বহুবার রিটুইট করা হয়। দেশ ও বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বহু ভারতীয়রাও তাতে মন্তব্য করেন।

.