This Article is From Mar 02, 2020

কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা! দিল্লি পুলিশকে সবুজ সঙ্কেত দিল আপ সরকার

কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা চালিয়ে যেতে দিল্লি পুলিশকে অনুমতি দিল আপ সরকার। দীর্ঘ প্রায় এক বছর এই সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছিল সে রাজ্যের আম আদমি সরকার।

কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা! দিল্লি পুলিশকে সবুজ সঙ্কেত দিল আপ সরকার

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে দিল্লি পুলিশ কানহাইয়া কুমার-সহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার ধারায় এফআইআর দায়ের করে।

হাইলাইটস

  • কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা চালিয়ে নিয়ে যেতে পুলিশকে অনুমতি
  • শুক্রবার এই অনুমতি দিল দিল্লির আম আদমি সরকার
  • এই মামলায় চার্জশিট দাখিল হলেও অনুমতি না মেলায় এগোচ্ছিল না শুনানি
নয়াদিল্লি:

কানহাইয়া কুমারের (Kanhaiya Kumar) বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার ধারায় (Sedition Case) মামলা চালিয়ে যেতে দিল্লি পুলিশকে অনুমতি দিল আপ সরকার। দীর্ঘ প্রায় এক বছর এই সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছিল সে রাজ্যের আম আদমি সরকার (AAP Government)। বিজেপির অভিযোগ ছিল, জেএনইউ'র (JNU) ওই প্রাক্তন ছাত্র নেতাকে বাঁচাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই মামলায় ইতিমধ্যে চার্জশিট দাখিল হলেও, এক ফোঁটাও এগোয়নি শুনানির কাজ। আপ সরকারের তরফে অনুমতি না মেলায়, সেই চার্জশিট খারিজ করেছিল আদালত। আদালতের তরফে নির্দেশ ছিল, রাজ্য সরকারের থেকে অনুমতিপত্র মিললেই এগোবে শুনানির কাজ। কিন্তু দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের গা ছাড়া মনোভাবের কারণে গত একবছরে একচুল এগোয়নি শুনানির কাজ। গেরুয়া শিবিরের তরফে এমনই অভিযোগ করা হচ্ছে। এরপর একসপ্তাহ আগে ফের দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) তরফে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।

নবীন পট্টনায়েকের খাবার টেবিলে মুখোমুখি মধ্যাহ্নভোজ সারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহ!

এদিকে, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি কী, জানতে চেয়ে শুক্রবার কোর্টে তলব করা হয়েছিল দিল্লি পুলিশকে। আদালতে পুলিশ, আপ সরকারের গা ছাড়া মনোভাবের প্রসঙ্গে অনুযোগ করে। কোর্ট থেকে বলা হয়, "ফের একবার দিল্লি সরকারকে মনে করান।" কোর্টের এই আদেশ মেনে কেজরিওয়াল সরকারের কাছে দরবার করলেই, নিজের অবস্থান থেকে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে দিল্লি পুলিশকে মামলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি শুক্রবার দিল কেজরিওয়াল সরকার। যদিও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এই মামলা দায়ের, একবছর আগেই সরব হয়েছিলেন জেএনইউ'র প্রাক্তন ওই ছাত্র নেতা। একই সুর শোনা গিয়েছে অপর অভিযুক্ত উমর খালিদের গলাতে।  

‘‘আমাদের রাজধর্ম শেখাবেন না'': দিল্লি হিংসা নিয়ে সনিয়া গান্ধিকে আক্রমণ বিজেপির

২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ছিল আফজল গুরুর ফাঁসি কার্যকরের চার বছর। সেদিনে জেএনইউ-এর ক্যাম্পাসে এক প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রতিবাদ সভা থেকেই উঠেছিল দেশদ্রোহিতার স্লোগান। সেই সভার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার-সহ ছাত্র নেতা উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এই তিন প্রাক্তন ছাত্র নেতা-সহ মোট ন'জনের বিরুদ্ধে  দেশদ্রোহিতার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিশ। সেই ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ থেকে ঝুলে এই মামলার ভবিষ্যৎ। যা এদিনের পর থেকে গতি পাবে, দাবি আইনজ্ঞদের। আইনবিদদের দাবি, "দেশদ্রোহিতার ধারায় মামলা চালাতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। সেটাই এতদিন দিচ্ছিল না কেজরিওয়াল সরকার।"

এ বিষয়ে আগে কানহাইয়া কুমার এনডিটিভি-কে জানিয়েছিলেন, "ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত চলাকালীন দেখা গিয়েছিল, জেএনইউ'র কোনও পড়ুয়া এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন না। দিল্লি পুলিশকে ধন্যবাদ, তারা ৩ বছর পর (২০১৯) চার্জশিট দাখিল করেছে। তাঁর অভিযোগ ছিল, সাধারণ নির্বাচনের আগে এই চার্জশিট দাখিল বলে দিচ্ছে এই তৎপরতা কতটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশের বিচারব্যবস্থায় আমার বিশ্বাস আছে। সেই সময় এনডিটিভিকে বলেছিলেন কানহাইয়া কুমার।

গত লোকসভা নির্বাচনে বেগুসরাই থেকে বাম প্রার্থী হয়েছিলেন কানহাইয়া কুমার। কিন্তু বিজেপির প্রার্থী তথা বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে প্রায় ৪ লক্ষ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন কানহাইয়া কুমার। 

.