This Article is From Dec 24, 2019

শিবসেনার বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ, উত্তর দিলেন আদিত্য ঠাকরে

মুম্বইয়ের এক বাসিন্দা অভিযোগ এন‌েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে লেখায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে এবং তাঁর মাথা মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

শিবসেনার বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ, উত্তর দিলেন আদিত্য ঠাকরে

কেন ওই ব্যক্তির সঙ্গে ওই আচরণ করা হল তা জানিয়েছেন আদিত্য ঠাকরে।

মু্ম্বই:

মুম্বইয়ের এক বাসিন্দা অভিযোগ এন‌েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে এবং তাঁর মাথা মুড়িয়ে দিয়েছে শিবসেনা কর্মীরা (Sena Worker)। শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে (Aaditya Thackeray) এই অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি ফেসবুক ও টুইটারে এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মহারাষ্ট্রের মানুষকে ভয়মুক্ত করতে ও রাজ্যে সাম্প্রদায়িক ঐক্য বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন ওই ব্যক্তি। এর ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই প্রতিক্রিয়া শিবসেনা কর্মীদের।

মুম্বইয়ের ওরলির সাংসদ ২৯ বছরের আদিত্য জানিয়েছেন, ‘‘প্রতিক্রিয়াটি (শিবসেনা কর্মীদের) দেখা গিয়েছে কারণ মন্তব্য (ওই ব্যক্তির) তাঁদের ক্রুদ্ধ করেছিল।''

পাশাপাশি তিনি শিবসেনা কর্মীদের কাছে আহ্বান জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে অনুসরণ করতে। তাঁর মতো করে শান্ত মনে প্রতিশ্রুতিপালনে মনোযোগী হয়ে মানুষের সেবা করে মানুষের মন জয় করার আহ্বান জানান আদিত্য ঠাকরে। 

গত ১৭ ডিসেম্বর দিল্লির জামিয়া মিলিয়ায় পুলিশের কার্যকলাপের সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে পঞ্জাবে হওয়া অশান্তির তুলনা করেছিলেন। তিনি জানান, জামিয়া মিলিয়ায় যা হয়েছে তা জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা হল যুব বোমা। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ পড়ুয়াদের সঙ্গে তারা যা করছে তা যেন না করে।''

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের প্রতিবাদ করায় সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু পড়ুয়া আহত হন।

মুম্বইয়ের যে ব্যক্তি শিবসেনার নিগ্রহের শিকার হয়েছেন তাঁর নাম হিরামাই তিওয়ারি। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘গত ১৯ ডিসেম্বর আমি পোস্ট করে জানাই জালিওয়ালাবাগের সঙ্গে জামিয়া মিলিয়ার ঘটনার যে তুলনা করেছেন উদ্ধব ঠাকরে, তা ভুল। এরপর ২৫-৩০ জন লোক এসে আমাকে মারধর করে এবং আমার মাথা মুড়িয়ে দেয়। আমি থানায় গেলে পুলিশ কর্মীরা রিপোর্ট তৈরি করেন। তাতে লেখা ছিল আমাকে মারধর করা হয়েছে। কিন্তু খানিক বাদে তাঁরা নতুন চিঠি লেখেন এবং আমাকে সমঝোতা করতে বলেন। আমি এই মামলায় কড়া পদক্ষেপ চাইছি।''

.