
মেলিনা, ডোনাল্ড ট্রাম্প, হোয়াইট হাউস

স্বামী ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন তাঁর সঙ্গে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সম্পর্কের জলঘোলা নিয়ে রীতিমতো বিপাকে, মেলানি সেখানে একদম চুপ। তিনি বেঁচে থাকেন নিজের মতো করে। গত সোমবার হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন তিনি। শেষ কয়েকমাসের ভিতর অন্তর সরকারিভাবে এটিই তাঁর প্রথমবার জনসমক্ষে আসা।

বিতর্ক এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প হল প্রায় লরেল-হার্ডির মতোই চিরন্তন একটি জুটি। একজনকে ছাড়া আরেকজন যেন সম্পূর্ণ অন্ধকার। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত জীবনও সেই অন্ধকারের করাল হাঁ-টির থেকে মুক্ত নয়। হোয়াইট হাউজে আসার পর এতদিন হয়ে গেল, স্ত্রী আর পুত্রের সঙ্গে তাঁকে দেখা যায় না কখনওই। অথচ, তাঁর ঠিক আগে যিনি ছিলেন, ওবামা, তিনি আবার ঠিক ততটাই পরিবারের সঙ্গে পছন্দ করতেন।

স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর ছুটি কাটানোর ছবি সর্বসমক্ষে চলে আসত বারবার। ট্রাম্প ঠিক এর উলটো। ছুটি পেলেই তিনি আড্ডা মারতে চলে যান বড়ো কোনও বিজনেস টাইকুনের সঙ্গে। মেলানি থাকেন তাঁর নিজের কাজ ও সন্তানকে নিয়ে।
আজ থেকে ২২ বছর আগে আমেরিকাতে আসা স্লোভানিয়ার মডেলটি চরমতম আলোটির ভিতর থেকেও নিজের মতো করে খুঁজে নিচ্ছেন নিজের একটি কোণ। ইদানীং, নিজেকে মূলত ব্যস্ত রাখেন ফ্যাশন ডিজাইনিং ও সমাজসেবার কাজে। তাঁর কাছের মানুষেরা বলেন- ব্রিটেনের যেমন ডায়না, আমেরিকার জন্য তিনি ঠিক তেমনই। ৭১ বছরের প্রবল ক্ষমতাশালী স্বামীর জীবনে কেবলমাত্র একটি হাইফেন হয়ে টিকে থাকতে চান না ৪৮ বছরের মেলানি ট্রাম্প।
