This Article is From Apr 22, 2019

দুটো হাতই নেই, তবু হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম হল ১০ বছরের সারা

সারা কখনও প্রস্থেটিকও ব্যবহার করেনি। করতে চায় না। ও কোনও সাহায্য নিতে চায় না। সবটাই ও নিজের করবে। এতটাই আত্মবিশ্বাস ওর। বলছিলেন সারা’র মা ক্যাথরিন।

দুটো হাতই নেই, তবু হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম হল ১০ বছরের সারা

দুই বাহুর মধ্যে পেনসিলটা চেপে ধরে লিখে যায় সারা। (ছবি প্রতীকী)

সে ছবি আঁকে। রং করে। তৈরি করে মাটির পুতুল। লিখতে পারে ইংরেজি এবং ম্যান্ডারিন ভাষা। এই বছরই প্রথম টানা হাতের লেখা লিখতে শিখল সে। তারপর জিতে নিল জাতীয় হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা। এতদূর পর্যন্ত পড়ে আপাতভাবে যেটুকু মনে হওয়া সম্ভব, তা হল, এ আর এমন কী! এই খবরের মধ্যে আছেটাই বা কী! এমন তো কতই হয়! আসলে যে তথ্যগুলি এখানে দেওয়া হল, তা সত্য। কিন্তু তার থেকেও বড় এবং জটিল সত্যটি হল, যে লড়াই করে ১০ বছরের সারা হিনসেলে এই সত্যটিতে পৌঁছতে পারল, সেটি। জন্ম থেকেই এই একরত্তি মেয়েটির দুটো হাতই নেই।

কিন্তু টানা হাতে লেখা প্রথম শুরু করতে অসুবিধা হয়নি? নিজের কাজে নিমগ্ন থাকতে থাকতে ছোট্ট সারার উত্তর, একেবারেই না। বরং পুরো ব্যাপারটাকেই আমার খুব সহজ মনে হয়।

“আমি না কখনও ওকে ‘আমি পারব না' কথাটি বলতে শুনিনি। যা আপতদৃষ্টিতে অসম্ভব, অন্য কেউ হয়তো সেটি করারও চেষ্টা করবে না, সারা সেই কাজটিও হাসিমুখে করে দেবে। ও একজন রকস্টার। যার অভিধানে ‘হেরে যাওয়া' বলে কোনও শব্দই নেই”, বলছিলেন সারার শিক্ষিকা শেরিল চুরিললা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের ফ্রেডেরিকের সেন্ট জন'স রিজিওনাল ক্যাথলিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সারা হিনসেলে টানা হাতের লেখার জন্য ২০১৯ সালের নিকোলাস ম্যাক্সিম পুরস্কার বিজয়ী হল। প্রতি বছরই এই পুরস্কারটি দুজন বিশেষ পড়ুয়াকে দেওয়া হয়। একটি হাতের লেখার জন্য আরেকটি স্ক্রিপ্টের জন্য।

সারা কখনও প্রস্থেটিকও ব্যবহার করেনি। করতে চায় না। ও কোনও সাহায্য নিতে চায় না। সবটাই ও নিজের করবে। এতটাই আত্মবিশ্বাস ওর। বলছিলেন সারা'র মা ক্যাথরিন।

লেখার জন্য নিজের দুই বাহুর সাহায্য নেয় সারা। দুই বাহুর মধ্যে পেনসিলটা চেপে ধরে লিখে যায় সে। তার নজর তখন অক্ষরের দিকে। শব্দের দিকে।

যেভাবে একটি অক্ষর তৈরি হয়, যেভাবে কয়েকটি অক্ষর নিয়ে একটি শব্দ তৈরি হয়, আমার সেই পুরো প্রক্রিয়াটাই খুব পছন্দের। এটাকে আমার শিল্প বলে মনে হয়। আর যেহেতু, এটি একটি শিল্প, তাই চেষ্টা করি, লেখার সময়ও ওই ভাবটি বজায় রাখার। আসলে লেখা নয়। আমি অক্ষর আঁকতেই ভালোবাসি বেশি। কাজ করতে করতে বলছিল দশ বছর বয়সী মেয়েটি।   



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.