This Article is From Jan 23, 2019

দেশের এই রাজ্যে ১৩টি ওয়েটার পদে চাকরি চেয়ে আবেদন করলেন হাজার হাজার স্নাতক!

জমা পড়া আবেদন বাছাইয়ের কাজ  করতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে মহারাষ্ট্র প্রশাসনের আধিকারিকদের।

চাকরি পেয়েছেন এমন মানুষের  সংখ্যাও কমেছে  প্রায় ১৭ হাজার।

হাইলাইটস

  • ক্যান্টিনের ১৩ টি ওয়েটার পদের জন্য আবেদন করেছেন সাত হাজার প্রার্থী
  • বিরোধীদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার
  • রেলে নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রকাশ্যে এসেছিল এরকমই ভায়বাহ তথ্য
মুম্বই:

সরকারি নির্দেশিকায় বলা ছিল চতুর্থ শ্রেণি পাস  হলেই  হবে। এটুকু থাকলেই সচিবালয়ের ক্যান্টিন কর্মী পদের জন্য হওয়া পরীক্ষায় বসার আবেদন করা যাবে। কিন্তু জমা পড়া আবেদন বাছাইয়ের কাজ  করতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে মহারাষ্ট্র প্রশাসনের আধিকারিকদের। দেখা যাচ্ছে কলেজ পাস থেকে শুরু করে  আরও বেশি ডিগ্রি থাকা  ব্যক্তিরা আবেদন করেছেন এই পদের জন্য। অনেকেই বলছেন রাজ্যের বেকার সমস্যা  ঠিক কতটা তার একটা আন্দাজ পাওয়া যায় এই ঘটনার মধ্য দিয়ে। সূত্র বলছে  ক্যান্টিনের ১৩ টি ওয়েটার পদের জন্য আবেদন করেছেন সাত হাজার প্রার্থী।

আরও পড়ুনঃ এক লক্ষ টাকার নোটে ছিল নেতাজির ছবি

রাজনৈতিক মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে  দেরি হয়নি খুব একটা। মহারাষ্ট্রের অন্যতম বিরোধী দল  ন্যাশনালিস্ট  কংগ্রেস পার্টি ( এনসিপি)-র নেতা  নবাব  মল্লিক রাজ্যের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে  বলেছেন, এটা থেকেই বোঝা যায় তরুণ প্রজন্মকে  চাকরি দিতে পারছে না  সরকার। মহারাষ্ট্রে কোনও নতুন শিল্প হচ্ছে না। নির্মাণের কাজও থমকে দাঁড়িয়েছে। মানুষের রোজগারের পথ বন্ধ হচ্ছে। বড় আকার ধারন করেছে সঙ্কট আর মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।

বিরোধীদের অভিযোগকে গুরুত্ব  দিতে রাজি নয় মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার। অর্থমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গানিতার বলেছেন আমরা কাউকে  কোনও চাকরিতে আবেদন  করা  থেকে  বিরত করতে পারি না। তবে অনেক নতুন চাকরির ব্যবস্থা হচ্ছে। আর সেই সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে সরকারি তথ্যের মিল নেই। তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে  বেকারের সংখ্যা ছিল ৩৩.৫৬ লাখ।  আর এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ৪২.২ লাখ। একই সঙ্গে  চাকরি পেয়েছেন এমন মানুষের  সংখ্যাও কমেছে  প্রায় ১৭ হাজার।

রেলে নিয়োগের ক্ষেত্রেও কয়েক দিন আগে প্রকাশ্যে এসেছিল এরকমই ভায়বাহ তথ্য। একটি সূত্র থেকে দাবি  করা  হয়েছিল রেলের ৬৩ হাজার পদের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ চাকরি প্রার্থী। তবে সেই বক্তব্যের সত্যতা মানতে নারাজ রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

 

    

 

.