This Article is From Sep 09, 2019

১৯৮৪ শিখ বিরোধী হিংসার মামলা আবার শুরু করতে চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, চাপে কমল নাথ

1984 anti-Sikh riots case: ১৯৮৪ হিংসার ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কমল নাথ, জগদীশ টাইটেলার এবং সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে

১৯৮৪ শিখ বিরোধী হিংসার মামলা আবার শুরু করতে চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, চাপে কমল নাথ

1984 anti-Sikh riots: মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বিরুদ্ধে পুনরায় শুরু করা হয়েছে

নয়াদিল্লি:

১৯৮৪-এর শিখ বিরোধী হিংসার (1984 anti-Sikh riots) মামলার ফাইল খোলার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, মামলায় নাম রয়েছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমল নাথের (Kamal Nath)। অগস্টা-ওয়েস্টল্যান্ড কেলেঙ্কারিতে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে কমল নাথের ভাইপো রাতুল পুরিকে, তারপরেই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের। গতমাসে, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করে সিবিআই।১৯৮৪ হিংসার ঘটনায়, জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কমল নাথ। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর নাম ঘোষণার পরে বিষয়টি সামনে আসে, তাঁর শপথগ্রহণের দিকে, মধ্যপ্রদেশ ও পঞ্জাবে বিক্ষোভ হয়।

১৯৮৪ তে দেহরক্ষীর গুলিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির হত্যার পর, শিখ বিরোধী হিংসা ছড়িয়ে পড়ে, সেই ঘটনায় কমল নাথ ছাড়াও হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগরয়েছে জগদীশ টাইটেলার, সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে।

সাক্ষীদের অভিযোগ, মধ্যদিল্লির রাকাবঞ্জ গুরুদুয়ারায় উত্তেজিত জনতাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কমল নাথ, তাঁর উপস্থিতিতে দুজন শিখকে হত্যা করা হয়। তবে, সেই হিংসার ঘটনার তদন্তে তৈরি করা নানাবতী কমিশন তাঁকে সন্দেহ দূর না হওয়ায় ছেড়ে দেয়।

দুজন ব্যক্তির সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ  করে কমিশন, তাঁদের মধ্যে একজন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিক সঞ্জয় সুরি, যারমাধ্যমে প্রমাণ হয় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কমল নাথ। যদিও তিনি নিজে জানান, উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এই মামলায় আরেকজন দোষীসাব্যস্ত সজ্জন কুমার।

হিংসার ঘটনা জড়িত থাকা ৮৮ জনের শাস্তি বহাল রাখে দিল্লি হাইকোর্ট। এই সিদ্ধান্তকে দৃষ্টান্তস্বরূপ রায় বলে মন্তব্য করে বর্ষীয়ান আইনজীবী এইচএস ফুলকা বলেন, ৯৫ জনের দেহ উদ্ধার না করা ছাড়া, কাউকে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না, এই ঘটনার নিন্দা করে আদালত।

১৯৮৪ শিখ বিরোধী হিংসার ঘটনায় ২২০টির বেশী মামলা বন্ধ করে দেওয়া মামলাগুলির তদন্ত করতে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার দুবছর পর, আদালতের রায়, শিখ বিরোধী হিংসার ঘটনাকে “গণহত্যা” বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।

সরকার তাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে বলে দাবি করে, কমল নাথের ইস্তফা চায় বিজেপির জোটসঙ্গী আকালি দল।

দিল্লির বিধায়ক মনিন্দর সিং শিরসা দাবি করেন, সনিয়া গান্ধির দ্রুত উচিত, কমল নাথকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলা। কমলনাথের বিরুদ্ধে যে দুজন সাক্ষী দিতে প্রস্তুত, তাঁদের সুরক্ষারও দাবি তোলেন তিনি।

কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হরসিমরৎ কউর বাদল ট্যুইট করেন, “মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বিরুদ্দে ২৯৮৪ শিখ বিরোধী হিংসার মামলা পুনরায় শুরু করা শিখদের জয়। যে মামলাটিক ভুলভাবে সমাধান করা হয়েছে বলা হত, সেটিকে খোলার আমাদের লাগাতার প্রচেষ্টার ফল এটি। এবার কমল নাথকে তাঁর অপরাধের সাজা পেতে হবে”।

.