
রুটি বনাম পরোটা তরজায় উত্তপ্ত সোশাল মিডিয়া।
হাইলাইটস
- হাতে গড়া পরোটা আর ফ্রোজেন পরোটা! জিএসটি'র হেরফের কেন?
- নেট দুনিয়ার বিস্তর চর্চার জবাব দিল কেন্দ্রীয় সূত্র
- হাতে গড়া পরোটায় জিএসটি ৫% আর ফ্রোজেন পরোটার জিএসটি ১৮%
হাতে তৈরি রুটির মতো ময়দার পরোটা (Hand made Parotta) নিলে রেস্তোরাঁ ৫% জিএসটি বসায়। হোম ডেলিভারি কিংবা রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেলে সেই শতাংশ বিলে বসে। কিন্তু ফ্রোজেন পরোটার ক্ষেত্রে জিএসটির হার বেশি কেন? এই পরোটা (GST on Frozen parotta) বাসি পরোটা। অর্ডারের আগে সামান্য গরম করে পরিবেশন করা হয়। কিন্তু তাও জিএসটি হার ১৮%! এত বেশি কেন? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেট দুনিয়া। বিস্তর সমালোচনা সোশাল মাধ্যমে। এই সমালোচনার জবাব দিতে অদ্ভূত যুক্তি খাড়া করেছে সরকারি সূত্র। এমনটাই মন্তব্য করেছে নেটিজেনরা। এ প্রসঙ্গে সরকারি সূত্রের দাবি, সমাজের সেই সব শ্রেণি এই পরোটার গ্রাহক, যাঁরা করদাতা।"
শনিবার সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, ফ্রোজেন পরোটা সংরক্ষিত করে রাখা হয়; প্যাকেজিং করা এবং ব্র্যান্ডেড। তাই হয়তো এর জিএসটি হার বেশি। শুধু ফ্রোজেন পরোটা নয়, কম দামি বিস্কুট, প্যাস্ট্রি, কেক, এগুলোর জিএসটি হার বেশি। কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যাঁরা কর দেন, তাঁদের কাছে এই পণ্যের চাহিদা বেশি। তাই ফ্রোজেন পরোটা আর হাতে তৈরি রুটি গুলিয়ে ফেললে চলবে না। নিম্নবিত্ত শ্রেণি কিংবা দিন মজুরদের কাছে রুটি জনপ্রিয়। কিন্তু ফ্রোজেন পরোটার গ্রাহক পৃথক।"
বেঙ্গালুরুর এক খাদ্য উৎপাদনকারী সংস্থা সম্প্রতি কর্নাটকের একটি আদালতকে বলেছে, "গমের পরোটা এবং মালাবার পরোটা তিন থেকে সাত দিন সতেজ থাকে। কিন্তু খাদ্যযোগ্য থাকে না ফলে সামান্য গরম করতে হয়। সংরক্ষিত রাখতে হয়। তাই এই পরিষেবা প্রদানের জন্য ১৮% কর বসে।" কিন্তু হাতে গড়া পরোটা বা রুটি একদিনের মধ্যেই খেতে হয়। করতে হয় না সংরক্ষণ ও গরম। তাই সেক্ষেত্রে জিএসটি বাবদ ৫% ধার্য হয়।