This Article is From Mar 05, 2020

বাল্যবিবাহ রুখল ১৩-র নাবালিকা, সম্মানিত করবে যোগী সরকার

ভারতে আইন করে বাল্য বিবাহ (Child Marriage) নিষিদ্ধ ১৯২৯ সালে। শুধু নিষিদ্ধই নয়, এটি দণ্ডনীয় অপরাধও। তারপরেও দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও এই বিয়ের চল রয়েছে। 

বাল্যবিবাহ রুখল ১৩-র নাবালিকা, সম্মানিত করবে যোগী সরকার

বাল্য বিবাহ রুখল ১৩ বছরের নাবালিকা

হাইলাইটস

  • পরিবার বাল্য বিবাহ আটকাল নাবালিকা
  • ১৩ বছরের বংশিকা গৌতম করল এমন সাহসের কাজ
  • যৌগ সরকার তাকে পুরস্কৃত করবে আজ
নয়া দিল্লি:

ভারতে আইন করে বাল্য বিবাহ (Child Marriage) নিষিদ্ধ ১৯২৯ সালে। শুধু নিষিদ্ধই নয়, দণ্ডনীয় অপরাধও। তারপরেও দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও এই বিয়ের চল রয়েছে। বিশেষত, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, বিহার, ঝাড়খন্ড এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও। এই প্রজন্মের বহু নাবালিকা শিক্ষার আলোয় সচেতন হয়ে অনেক বার বন্ধ করেছে সমাজের বুকে ঘটে চলা এই অভিশপ্ত ঘটনা। এমনই সাহসী প্রতিবাদ এবার ঘটল যোগী রাজ্যে, উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। সেখানকার ১৩ বছরের নাবালিকা নিজের পরিবারের বাল্য বিবাহ বন্ধ করল সম্প্রতি। ঘটনা জানাজানি হতেই সবাই মন খুলে প্রসংশা করেছেন মেয়েটির। এই অসম সাহসিকতার জন্য ৫ মার্চ, আজ তাকে সম্মানিত করবে যোগী সরকার। 

উন্নাও ধর্ষণ! নির্যাতিতার বাবাকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত কুলদীপ সেঙ্গার

খবর, উত্তর প্রদেশের ১৩ বছরের এই কিশোরী খারখোদা এলাকার কস্তুরবা গান্ধী আবাসিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। নাম বংশিকা গৌতম। একবছর আগে তার ১৬ বছরের খুড়তুতো দাদার বিয়ে বন্ধ করেছিল বংশিকা। তার মতে, "প্রায় এক বছর আগে, কাকা ১৬ বছরের দাদাকে বিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তখনই জানাই, ছেলেদের ২১ আর মেয়েদের ১৮ না হলে বিয়ে আইনত নিষিদ্ধ। তারপরেই কাকা পুরো বিষটি বুঝে দাদার বিয়ে বন্ধ করেন। তাকে আবার পড়াশোনা শেখাচ্ছেন।"

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা উঠল কাশ্মীরে, ফের চালু ব্রডব্যান্ড পরিষেবা

কস্তুরবা গান্ধী আবাসিক বিদ্যালয়ে ওয়ার্ডেন বংশিকার প্রসংশা করে বলেন, "বংশিকা আমাদের স্কুলের গর্ব। ওর সাহস, বিচক্ষণতা, বুদ্ধি ওকে এই স্তরে পৌঁছে দিয়েছে। এই প্রথম উত্তর প্রদেশে কোনও স্কুলের ছাত্রী এই সম্মান পেতে চলেছে। আমরা চাই, সবাই বংশিকার মতো শিক্ষিতমনস্ক, বিচক্ষণ হোক।"

.